শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ই-টেন্ডারিং প্রকল্প: বাস্তবায়নে ধীরগতি কাম্য নয়

প্রকাশিত : ১০:১২ পূর্বাহ্ণ, ১৯ জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার ৯৩ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ই-টেন্ডারিং প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি বিরাজ করার বিষয়টি হতাশাজনক। সম্প্রতি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনে প্রকল্পটিতে চিহ্নিত করা হয়েছে ১৩ ধরনের দুর্বল দিক। শুধু তাই নয়, তদারকি ভালো না হলে এক্ষেত্রে অপচয়ের শঙ্কাসহ ৮ ধরনের ঝুঁকির কথাও বলা হয়েছে। প্রকল্পটিতে ইতোমধ্যে ২২টি অডিট আপত্তি দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র ৬টির। যদিও প্রকল্পের গতি বৃদ্ধিতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ, তবে তা কতটা কার্যকর হবে, এটাই প্রশ্ন।

সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে ২০১১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে ই-টেন্ডারিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন, বর্তমানে ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। দেখা গেছে, করোনা মহামারির সময়েও এ সিস্টেম সপ্তাহের ৭ দিন ২৪ ঘণ্টাই কাজ করেছে। এছাড়াও এ প্রযুক্তি ব্যবহারে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে। একইসঙ্গে ক্রয়ের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা হ্রাস, সরকারি অর্থের অপচয় রোধ এবং ক্রয়কারী ও দরদাতার আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে, যার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংকের ‘ডিরেক্টর অ্যাওয়ার্ড’ লাভসহ আইএসও সনদ পেয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আধুনিক প্রযুক্তির এ প্রকল্পটিতে ধীরগতিসহ সব দুর্বলতা দ্রুত কাটিয়ে ওঠার পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বলার অপেক্ষা রাখে না, যে কোনো প্রযুক্তি সহজলভ্য করার পাশাপাশি এর সহজ ব্যবহার নিশ্চিত করতে না পারলে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষেত্রে আমরা ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ব।

দেশে প্রচলিত টেন্ডার প্রক্রিয়ায় নানা ধরনের অসংগতি, দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা সর্বজনবিদিত। টেন্ডারবাজদের অপতৎপরতা ও সহিংস আচরণের খবর মাঝেমধ্যেই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। নানারকম অবৈধ পন্থা অবলম্বন ছাড়াও সশস্ত্র টেন্ডারবাজরা কার্যাদেশ হাতিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে অনেক সময় খুন-খারাবির ঘটনা পর্যন্ত ঘটায়। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করতে ই-টেন্ডারিং পদ্ধতির গুরুত্ব অপরিসীম, তা বলাই বাহুল্য। অনলাইন বা ই-টেন্ডারিং পদ্ধতিতে ঘরে বসেই দরপত্র সংক্রান্ত সব কাজ করা সম্ভব। পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে দরপত্রের প্রস্তাব, মূল্যায়ন, চুক্তি ব্যবস্থাপনা এবং ই-পেমেন্টসহ সংশ্লিষ্ট অনেক কাজই স্বল্প সময়ে, সহজে ও সমন্বিতভাবে করা সম্ভব। দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে আনার পাশাপাশি কাজের সঠিক মান বজায় রাখতে ই-টেন্ডারিং পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করি আমরা। অবশ্য এ কথাও সত্য, শুধু পদ্ধতি বা প্রক্রিয়ার পরিবর্তন হলেই চলবে না, নাগরিকদের মধ্যে দুর্নীতি, নৈরাজ্য ও লুটপাট থেকে দূরে থাকার মানসিকতা তৈরির উদ্যোগও নিতে হবে। সব ধরনের শৈথিল্য ও অব্যবস্থাপনা কাটিয়ে যথাসময়ে সঠিকভাবে ই-টেন্ডারিং প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে, এটাই প্রত্যাশা।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



© ২০২৩ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT