ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে যা শেখার আছে যুক্তরাষ্ট্রের
প্রকাশিত : ০৬:৪৪ অপরাহ্ণ, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার ৮২ বার পঠিত
গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা করেছে রাশিয়া। এর পর অস্ত্র, গোলাবারুদ আর অর্থ দিয়ে কিয়েভের সহায়তায় এগিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের দেশগুলো। নানাভাবে ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেনকে সহায়তা করে রাশিয়ার সঙ্গে এক প্রকার পরোক্ষ যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধরত দুপক্ষই শান্তি চায়। কিন্তু শান্তি যেন কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না।
রাশিয়া-ইউক্রেনের এই যুদ্ধ থেকে শেখার আছে অনেক কিছু। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদনে কয়েকটি শিক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। চলুন জেনে নিই সেগুলো সম্পর্কে—
১.
অন্য কোনো দেশের পক্ষে যুদ্ধে নামলে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথমেই ভারি অস্ত্র আর গোলাবারুদ সরবরাহের শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে। যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামতে হবে দেশটিকে।
যুক্তরাষ্ট্রের এক সামরিক কর্মকর্তার দাবি, ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ান দখলের জন্য হামলা করতে পারে বেইজিং। যদি এই তাইওয়ান-বেইজিং যুদ্ধের কথাই বলি।
সেন্টার ফর স্ট্রাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মার্ক ক্যানসিয়ান মনে করেন, বেইজিং তাইওয়ানে আক্রমণ করলে অস্ত্র সহায়তায় সংকটে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষেত্রে অস্ত্র সংকটে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পরিসংখ্যান বলছে, নিজেদের রক্ষায় প্রতিদিন রাশিয়ার দিকে প্রায় ৭০০ রাউন্ড গোলাবারুদ ছুড়ছে ইউক্রেন। আর এগুলোর সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনকে সহায়তা করে অস্ত্র সংকটে পড়ছে দেশটি। এর ফলে আসন্ন চীন-তাইওয়ান দ্বন্দ্বের সময় অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংকটে পড়তে পারে ওয়াশিংটন।
গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে অসংখ্য অস্ত্র আর গোলাবারুদ পাঠিয়েছে।
পেন্টাগনের তথ্য বলছে, এ পর্যন্ত সাড়ে আট হাজার জ্যাভলিন অ্যান্টি-আর্মার সিস্টেম, দেড় হাজার স্টিংগার অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট সিস্টেম এবং এক লাখ রাউন্ড ১২৫ মিমি ট্যাংক গোলাবারুদসহ লাখ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ পাঠিয়েছে। তবু সংকটে পড়েছে দেশটি। তাই তাইওয়ানে হামলার আগেই এ সংকট মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
২.
ইউক্রেনে রুশ হামলার পর দেশটিতে অস্ত্র পাঠানো শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তাইওয়ানের ক্ষেত্রে এটি করলে অদূরদর্শিতা হবে। তাই বেইজিংয়ের হামলার আগেই দ্বীপটিতে অস্ত্র মজুত রাখতে হবে মার্কিনিদের।
যদি তাইওয়ানে অস্ত্র মজুত না রাখা হয়, তবে দেশটি হামলার পর কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের জন্য তাইওয়ানকে সারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে পারে চীন।
৩.
সাইবার হামলার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। ইউক্রেন যুদ্ধের একপর্যায়ে দেশটির প্রায় হাজার হাজার মডেম নষ্ট করে দিয়েছেন রাশিয়ার হ্যাকাররা। ইউক্রেনের অনেক তথ্য চলে গেছে রুশ হ্যাকারদের কাছে। তাইওয়ান-চীন যুদ্ধেও এমনটি হতে পারে। আর এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের। সাইবার হামলা থেকে প্রস্তুত থাকতে হবে যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানকে।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।