শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেন যুদ্ধ: ‘ট্রিপল এফ’ সংকটের মুখোমুখি বিশ্ব

প্রকাশিত : ০৮:২৮ পূর্বাহ্ণ, ২৮ জুন ২০২২ মঙ্গলবার ১৩৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব খাদ্য (ফুড), জ্বালানি (ফুয়েল) এবং সার (ফার্টিলাইজার); এই ট্রিপল এফ সংকটের মুখোমুখি বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।

ডব্লিউএফপি, জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধ পঞ্চম মাসের দিকে এগিয়ে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে ৩৪৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ‘ভয়াবহ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার’ সম্মুখীন হচ্চে। বিবিসি সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি এবং কোভিড মহামারির সঙ্গে চলমান যুদ্ধও মিলিতভাবে বিশ্বজুড়ে দুর্ভিক্ষের আসন্ন হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বিবিসি আরও জানায়, কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের বন্দর রাশিয়া অবরোধ করে রাখার কারণে ইউক্রেনের রপ্তানিযোগ্য শস্যের বেশিরভাগ স্থানীয় গুদামে পচনের ঝুঁকিতে রয়েছে।

রাশিয়ার সার রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে, যা ভবিষ্যতে খাদ্য উৎপাদনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ইউক্রেনের ডব্লিউএফপির জরুরি সমন্বয়কারী ম্যাথিউ হলিংওয়ার্থ বিবিসিকে বলেন, আমরা ভীষণ উদ্বিগ্ন। আমরা খাদ্য, জ্বালানি এবং সার: এই ট্রিপল এফ সংকটের মুখোমুখি।

তিনি আরও বলেন, পরের বছর… আমাদের কেবল খাদ্য রপ্তানির সমস্যাই নয়, খাদ্যের প্রাপ্যতার সমস্যাও হতে পারে।

তিনি বলেন, যে দেশগুলো ইতোমধ্যে খাদ্য আমদানি করতে পারছে না, সার ছাড়াই তাদের নিজস্ব ফসল উৎপাদনের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে।

ম্যাথিউ হলিংওয়ার্থ আরও বলেন, এই যুদ্ধের মানবিক মূল্য ইউক্রেনের সীমানা ছাড়িয়ে গেছে এই বোধটা জাগ্রত হবে। এটা বুঝতে হবে যে বিশ্ব ২০২২ এবং ২০২৩ সালে একাধিক দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা করতে পারবে না।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT