বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনির মহত্ত্ব বর্ণনা করে যা বললেন আজহারী

প্রকাশিত : ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ, ৪ মার্চ ২০২৫ মঙ্গলবার ১৭ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার মিজানুর রহমান আজহারী আল্লাহু আকবার ধ্বনির মহত্ত্ব বর্ণনায় বলেছেন, আপনারা দেখেছেন ভারতে কিছু সন্ত্রাসী ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিচ্ছিল মুসলিম নারী-মুসকানকে লক্ষ্য করে। তখন মুসকানের আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে সারা বিশ্ব প্রকম্পিত হয়েছিল। রাসূল (সা.) যখন গুহায় আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন ছিলেন তখন তিনি ইয়া উম্মাতি ইয়া উম্মাতি, আমার উম্মতকে বাঁচাও জিকির করছিলেন তখন জিবরাইল (আ.) আল্লাহর বাণী রাসূলকে (সা.) শুনিয়ে দিলেন- হে রাসূল মহান আল্লাহ আপনাকে শিগগিরই এত পরিমাণ নিয়ামত দান করবেন যে আপনি খুশি হয়ে যাবেন।

রোববার সন্ধ্যায় পহেলা রমজান উপলক্ষে বাংলাদেশ মুসলিম কমিউনিটি মালয়েশিয়া কর্তৃক আয়োজিত ‘রমাদান অ্যান্ড কুরআনিক রিফ্লেকশন’ ইসলামী কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বয়ানে আজহারী এসব কথা বলেন। কোরাস হোটেল কুয়ালালামপুরের গ্র্যান্ড বলরুমে এ ইসলামি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, প্রিয় রাসূল (সা.) মায়ের পেটে ৬ মাস বয়সের সময় তিনি পিতা আবদুল্লাহকে হারান। তারপর ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মাতা আমিনাও চলে গেলেন। বিশ্বনবী এতিম হয়ে হালিমা (রা.), দাদা ও সর্বশেষ চাচার কাছে বড় হতে লাগলেন।

আজহারী আরও বলেন, এতিমদের প্রতি ভালো আচরণ করতে হবে। তাদের প্রতি কখনো কঠোর হবেন না। রাসূল (সা.) নিজেও এতিম ছিলেন। রাসূল (সা.) বলেন- এতিমদের আদর স্নেহ করা মানেই আমাকে সম্মান করা। হাতের ২ আঙুলের মধ্যে যে পার্থক্য আছে জান্নাতে আমার বাড়ির সঙ্গে তাদের বাড়ির দূরত্ব হবে সেই ২ আঙুলের মতোই পার্থক্য। রাসূলের (সা.) প্রতি আল্লাহ পাক কিছু কর্মসূচি দিয়েছিলেন এর প্রথমটি হচ্ছে- এতিমের প্রতি কঠোর হবেন না, যে সাহায্য চাইতে আসে ওই ফরিয়াদিকে কখনই ধমক দিবেন না, আল্লাহ পাক আপনাকে যে অসীম নেয়ামত দিয়েছেন তার বর্ণনা করুন।

বাংলাদেশ মুসলিম কমিউনিটি মালয়েশিয়ার প্রধান সমন্বয়ক মো. মোরাদ হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সঞ্চালনা করেন যুবায়ের রহমান।

আলোচনা শেষে প্রবাসী ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করে সব প্রবাসীর সঙ্গে ইফতার করেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি মুসলিম কমিউনিটি মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ মোরাদ হোসেন বিগত কিছু উল্লেখযোগ্য সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি জানান, সংগঠনটি মালয়েশিয়ায় স্থানীয় কমিউনিটির বিশেষত বন্যার সময় দুর্গতদের সহায়তা, প্রবাসে মৃত্যুবরণ করা বাংলাদেশিদের মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা, ফিলিস্তিনের জন্য আর্থিক সহায়তা এবং মালয়েশিয়ায় অসুস্থ ও অসহায় বাংলাদেশিদের জন্য সহায়তা প্রদানসহ নানা মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

তিনি বলেন, আমরা সবসময় মানবতার সেবায় নিয়োজিত থাকার চেষ্টা করি, আল্লাহ আমাদের এ কাজগুলো কবুল করুন। সবার কাছে দোয়ার দরখাস্ত রইল, যেন বাংলাদেশি মুসলিম কমিউনিটি মালয়েশিয়া আরও বড় পরিসরে মানবতার খেদমত করতে পারে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT