শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আফগানিস্তানে নারীসহ ১২ জনকে বেত্রাঘাত

প্রকাশিত : ০৫:০৬ অপরাহ্ণ, ২৪ নভেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার ১০৫ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

আফগানিস্তানে হাজারও মানুষের সামনে তিন নারীসহ ১২ জনকে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। আফগানিস্তানে এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো তালেবান প্রকাশ্যে এমন সাজা কার্যকর করল।

বুধবার দেশটির একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে এ বেত্রাঘাত করা হয়। খবর বিবিসির।

তালেবানের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, ব্যভিচার, সমকামী যৌনতা, ডাকাতিসহ নৈতিক অপরাধের দায়ে ১২ জনকে এ সাজা দেওয়া হয়েছে।

আফগানিস্তানে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে তালেবানের প্রথম শাসনামলে বেত্রাঘাত-পাথর নিক্ষেপের মতো কঠোর শরিয়াহ আইনের সাজা কার্যকর ছিল। এখন তালেবান আবার পুরনো ধারায় ফেরার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

সবশেষ বেত্রাঘাতের ঘটনাটি ঘটে পূর্ব আফগানিস্তানের লোগার অঞ্চলে। সেখানকার তালেবান মুখপাত্র ওমর মনসুর মুজাহিদ বলেন, সাজা কার্যকরের পর তিন নারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন পুরুষকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে ঠিক কতজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।

অপর এক তালেবান কর্মকর্তা বলেন, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ২১ থেকে ৩৯টি বেত্রাঘাত করা হয়েছে। একজনকে সর্বোচ্চ ৩৯টি বেত্রাঘাত করা হয়।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহে উত্তর আফগানিস্তানের তাকহার প্রদেশে একইভাবে বেত্রাঘাতের মাধ্যমে ১৯ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন নারী ছিলেন।

গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানের হাতে যায়। পরে তারা সরকার গঠন করে। সরকার গঠনের পর তালেবান গত সপ্তাহে দেশটির তাকহার প্রদেশে প্রথমবারের মতো কঠোর শরিয়াহ্ আইন প্রয়োগ করে।

চলতি মাসেই দেশটির বিচারকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তালেবানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। বৈঠকে কিছু অপরাধের জন্য শরিয়াহ আইনে শাস্তি প্রদান করতে বিচারকদের নির্দেশ দেন তিনি।

আখুন্দজাদার নির্দেশনার পর তালেবানের এক মুখপাত্র বলেছিলেন— ডাকাতি, অপহরণ, রাষ্ট্রদ্রোহের মতো কিছু অপরাধের শাস্তি অবশ্যই ইসলামি শরিয়াহ আইনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী দিতে হবে।

গত শতকের নব্বইয়ের দশকে তালেবান যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন অপরাধীদের প্রকাশ্যে অঙ্গচ্ছেদ, পাথর ছুড়ে মারার মতো শাস্তি দেওয়া হতো। তখন এ নিয়ে কঠোর নিন্দার মুখে পড়ে তালেবান।

তবে গত বছর ক্ষমতায় এসে তালেবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, অতীতের মতো তারা এবার দেশ শাসন করবে না।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT