রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আপনারা ধরছেন চুনোপুঁটি, রাঘববোয়ালদের ধরবে কে: দুদককে হাইকোর্ট

প্রকাশিত : ০৫:৩৮ অপরাহ্ণ, ২৭ নভেম্বর ২০২২ রবিবার ৬১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

অর্থশালীরা পাওয়ারফুল (শক্তিশালী)। তারা বিচারের ঊর্ধ্বে কিংবা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে কিনা- দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি এমন প্রশ্ন রেখেছেন হাইকোর্ট। দুদকের আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, রাঘববোয়ালদের ধরবে কে? আপনারা ধরছেন চুনোপুঁটি।

একটি ব্যাংকের প্রায় ১১০ কোটি টাকার অর্থ আত্মসাতের এক মামলায় দুই আসামির জামিন বাতিল প্রশ্নে রুল শুনানিতে বৃহস্পতিবার এমন প্রশ্ন রাখেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ।

এ সময় আদালতে দুদকের আইনজীবী এমএ আজিজ খান ও খুরশীদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।

বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি খাজা সোলায়মান আনোয়ার চৌধুরীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় ২০১৩ সালের ২৯ মার্চ মামলা করেন শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ইস্কাটন শাখার ম্যানেজার নকীবুল ইসলাম। এ মামলায় ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর ব্যাংকটির তৎকালীন ডেপুটি ম্যানেজার এএসএম হাসানুল কবীর ও জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মান্নাতুল মাওয়াসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়।

২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর এই দুইজনকে জামিন দেন বিচারিক আদালত। পরে সেই জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করেন। এরই মধ্যে মামলাটি ২০১৮ সালে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

রোববার ওই দুইজনের জামিন বাতিল প্রশ্নে রুল শুনানিতে হাইকোর্ট দুদকের আইনজীবীদের উদ্দেশ করে বলেন, ১১০ কোটি টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ২০১৩ সালে মামলা হয়েছে। এ মামলাটি এখনো কেন শেষ (বিচার) হচ্ছে না। তখন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, অবশ্যই দুদকের ধরা উচিত। এদের ধরা হবে।

এ সময় আদালত বলেন, কবে ধরবেন? মামলা ২০১৩ সালে। চার্জশিট ২০১৫ সালে। এরপর ফের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কোর্ট। এত বছর হয়ে গেল। এগুলোর কী হবে? এতে বুঝা যায় কী, যারা অর্থশালী পাওয়ারফুল, তারা বিচারের ঊর্ধ্বে? এরা ধরাছোঁয়ার বাইরে? আপনারা বিষয়টি সিরিয়াসলি নিতে দুদক চেয়ারম্যানকে বলবেন- এ ধরনের মামলাগুলো কেন শেষ হচ্ছে না। কেন প্রতিবেদন দেওয়া হচ্ছে না? নয় বছর চলে গেছে।

এ সময় এক আসামির আইনজীবী বলেন, আমরা তো নিম্নস্তরের ব্যাংকার। তখন আদালত প্রশ্ন করে বলেন, মামলার প্রধান আসামি খাজা সোলায়মান কে?

জবাবে খুরশীদ আলম খান বলেন, বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি। তিনি পলাতক। এক মামলায় তার সাজা হয়েছে। তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতার করতে আপনার কোর্টের আদেশও আছে।

তখন আদালতে অন্য মামলার শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল আসেন। আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে বলেন, দেখুন অ্যাটর্নি জেনারেল মামলার অবস্থা। ২০১৩ সালের মামলা এখনো প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি। ১১০ কোটি টাকার মামলা।

এরপর দুদক আইনজীবী বলেন, আমরা হালনাগাদ তথ্য জানাব।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



© ২০২৩ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT