রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫, ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদিবাসী ছাত্রজনতার ওপর হামলার প্রতিবাদে রাবিতে মশাল মিছিল

প্রকাশিত : ০৮:১১ পূর্বাহ্ণ, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার ২৫ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ঢাকায় আদিবাসী ছাত্রজনতার ওপর হামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। ক্যাম্পাসের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।

সমাবেশ থেকে বিক্ষোভে হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। সেইসঙ্গে পাঠ্যপুস্তক থেকে আদিবাসী শব্দ সম্বলিত গ্রাফিতির ছবি পুনর্বহাল এবং স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি নামের সংগঠনকে উগ্রবাদী আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধের দাবি জানান তারা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅঅভ্যুত্থানের পর তারা আশা করছিলেন, সাম্য, সামাজিক ন্যায়, বহুমাত্রিক, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠিত হবে। কিন্তু সবার মুখে শুধু বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার কথার ফুলঝুড়ি, বাস্তবে এ কথার কোনো প্রয়োগ নেই। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও তারা সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাননি। যখনই তারা ন্যায্য অধিকার, সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেন, তখনই একটা পক্ষ তাদেরকে ভারতের দালাল বলে বিভাজন তৈরি করে এবং দেশ ভাগ করার অভিযোগ তোলেন। বৈষম্যহীন দেশ গড়ার জন্য গণঅভ্যুত্থানে তারাও আন্দোলন করেছেন। তারা কখনোই দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চান না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছয়েস তালুকদার বলেন, ‘আমরা দেখেছি ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ বাহিনী কীভাবে হামলা করেছে। একই কায়দায় আজকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে পুলিশ। আমরা এ হামলাকারী পুলিশদের বিচার চাই। সেইসঙ্গে স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি নামের উগ্রবাদী সংগঠনের হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচার আওতায় আনতে হবে এবং ওই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’

সরকারের সমালোচনা করে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, ‘আদিবাসী জনগোষ্ঠীরা তো পাঠ্যবইয়ে আদিবাসী শব্দ সম্বলিত গ্রাফিতি যুক্ত করতে বলেননি। সরকারই যুক্ত করে আবার সেটা বাতিল করল। তাহলে উনারা কী এর দায় নিবেন না? আসলে উনারা মূলত বিভাজনের রাজনীতি করেন, বিভাজনের মধ্য দিয়ে মানুষকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ফায়দা নিতে চান। দীর্ঘ ৫০ বছর দেশের রাজনীতিতে আমরা এটাই দেখেছি। এই বিভাজনের রাজনীতি দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, এটাই তার প্রমাণ। আপনারা বিভাজনের রাজনীতির মধ্য দিয়ে বারবার বাংলাদেশকে বিভক্ত করতে চান, আবার কথায় কথায় আমাদের ঐক্য ধরে রাখতে বলেন। যখনই ঐক্য যদি অধিকারের প্রশ্ন হয়, তখনই আপনারা পিছ-পা হন।’ অবিলম্বে পাহাড় ও সমতলের আদিবাসীদের অধিকার ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT