অশোককে ধানমন্ডি নিয়ে যান ‘বিচ্ছু জালাল’
প্রকাশিত : ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ শনিবার ৭৮ বার পঠিত
বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের পাক সেনাদের কবল থেকে উদ্ধার করতে ভারতীয় মেজর অশোক তারাকে ধানমন্ডি নিয়ে যান কিশোর মুক্তিযোদ্ধা বিচ্ছু জালাল। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের এক দিন পর ১৭ ডিসেম্বর সকালেই ধানমন্ডির তৎকালীন ১৮ নম্বর সড়কের (বর্তমানে ৯/এ সড়ক) ২৬ নম্বর বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হন। এই বাড়িতেই শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ও শেখ হাসিনাসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের মুক্তিযুদ্ধের সময় আটকে রেখেছিল পাক সেনারা।
অশোক তারা অস্ত্রহীন অবস্থায় মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের কৌশল অবলম্বন করে মাত্র এক ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন। শ্বাসরুদ্ধকর এই উদ্ধার অভিযানের পুরো সময় তরুণ মেজর অশোক তারার সঙ্গে ছিলেন জহির উদ্দিন জালাল ওরফে ‘বিচ্ছু জালাল’। এ সময় তাদের সঙ্গে আরও ছিলেন তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দর এলাকা থেকে নেওয়া মাত্র তিনজন সেনাসদস্য। যদিও এই উদ্ধার অভিযানকে কেন্দ্র করে মেজর অশোক তারা ইতিহাসের অংশ হয়েছেন। কিন্তু কোথাও নেই বিচ্ছু জালালের নাম!
উদ্ধার অভিযানের আগে কীভাবে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের ধানমন্ডির ওই বাড়িতে আটকে থাকার খবর পেলেন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা অশোক তারা? শুক্রবার সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল (বিচ্ছু জালাল)।
তিনি বলেন, ১৭ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে একটি সাদা রঙের টয়োটা গাড়ি নিয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে আসেন বঙ্গবন্ধুর জামাতা এমএ ওয়াজেদ মিয়া। তার সঙ্গে ছিলেন কবির চৌধুরী। এখানে এসে তিনি ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাদের কাছে পাক আর্মির কবল থেকে তার পরিবারের সদস্যদের উদ্ধারের অনুরোধ করেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওয়াজেদ মিয়ার অনুরোধ ছিল ঠিক এরকম- ‘পাক আর্মিরা আমার পরিবারের সদস্যদের ধানমন্ডির একটি বাড়িতে আটকে রেখেছে, আপনারা তাদের উদ্ধার করুন, তাদের বাঁচান।’ এ সময় আমরা মুক্তিযোদ্ধারা দল বেঁধে অস্ত্রসহ ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে উপস্থিত ছিলাম। ওয়াজেদ মিয়া প্রথমে ‘আমার পরিবার’ বলায় তারা (ভারতীয় সেনা কর্মকর্তারা) বুঝতে পারছিলেন না। পরে তিনি (ওয়াজেদ মিয়া) বঙ্গবন্ধুর পরিবার শব্দ দুটি বলেন। সে সময় ভারতীয় সাংবাদিক অনিল ভট্টাচার্য আমাদের সঙ্গে হোটেলের সামনে অবস্থান করছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ের জামাতা প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া তার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ’ গ্রন্থে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার অভিযান সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
তিনি লেখেন, ‘১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় লোক মারফত খবর নিয়ে জানতে পারি যে, তখনো ধানমন্ডির (পুরাতন) ১৮ নম্বর রোডের ২৬ নম্বর বাড়িটিতে পাকিস্তানি আর্মির সৈন্যরা পাহারায় রয়েছে। কিন্তু শাশুড়ি, হাসিনা, রেহানা, রাসেল, জয় ও অন্যরা কী অবস্থায় আছে সে সম্পর্কে কেউ কোনো তথ্য দিল না।’ ওয়াজেদ তার বইয়ে উদ্ধার অভিযান সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে বলেন এভাবে- ‘আমি কন্টিনেন্টাল হোটেল (বর্তমানে হোটেল শেরাটন)-এ গিয়ে সেখানে অবস্থানরত ভারতীয় সেনাবাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তাকে আমার পরিচয় দিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অবহিত করি।’
বিচ্ছু জালাল বলেন, ওয়াজেদ মিয়াকে আমি চিনতে পারি। ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে তার কথোপকথনের পরই মুক্তিযোদ্ধা সাইফুলকে আজিমপুরে আমাদের ক্যাম্পে গিয়ে অন্যদের সঙ্গে নিয়ে ধানমন্ডির ১৮ নম্বর সড়কের ২৬ নম্বর বাড়িতে যেতে অনুরোধ করি। কথা মতো সাইফুল আজিমপুর ক্যাম্প থেকে খোকন, বাহাউদ্দিন, বারী, খোকা, ফরিদ ও শাহনেওয়াজকে সঙ্গে করে একটি খোলা জিপ গাড়িতে রওনা হন। আমি সাংবাদিক অনিল ভট্টাচার্যের পরামর্শ অনুযায়ী ক্যান্টনমেন্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।
মুক্তিযোদ্ধা মুরাদের মোটরসাইকেলে ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা সাবেক সিংয়ের উদ্দেশে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের দিকে অগ্রসর হই। তখন আমার কাঁধে একটি এসএমজি, এক পকেটে রিভলবার এবং আরেক পকেটে গ্রেনেড ছিল। কিন্তু ক্যান্টনমেন্টে যাওয়ার আগে তেজগাঁওয়ে এসএসএফের যে ভবনটি বর্তমানে রয়েছে সেখানে আমাদের আটকে দেন ভারতীয় সেনারা। এসময় একজন সেনাকে বলি আমি সাবেক সিংয়ের কাছে ট্রেনিং নিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের এখনো ধানমন্ডির একটি বাড়িতে আটকে রেখেছে পাক সেনারা। তখন ওই সেনাসদস্য কাছেই দাঁড়ানো ব্রিগেডিয়ার চেন্নাইয়ের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। ভারতীয় এই সেনা কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি সব শুনে একটু দূরে (তেজগাঁও বিমানবন্দরের গেটের কাছে) দাঁড়ানো সুদর্শন তরুণ এক কর্মকর্তাকে দেখিয়ে বলেন, মেজর অশোক তারার কাছে যান। এ কথা শুনে আমি দৌড় দিই। সেখানে অশোক তারা অন্য অফিসারদের সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন। আমার কথা শুনে তিনি আর্মির একটি বড় লরিতে ২-৩ জন সৈন্য নিয়ে ওঠেন এবং আমাকেও লরিতে উঠতে বলেন। আমরা ধানমন্ডির ১৮ নম্বর সড়কের উদ্দেশে রওনা দিই। গ্রিন রোড স্টাফ কোয়ার্টারের পাশের রাস্তা দিয়ে ধানমন্ডির ৮ নম্বর ব্রিজের কাছে পৌঁছি। কিন্তু সেখানে তখন বিরাজ করছিল এক ভীতিকর অবস্থা। কিছুক্ষণ আগেও পাকিস্তানি আর্মিরা ওই বাড়ির সামনে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে বলে জানান কয়েকজন। তারা আমাদের সামনে যেতে নিষেধ করছিলেন। কিন্তু মেজর অশোক এই নিষেধ উপেক্ষা করে বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হন।
বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার অভিযান সম্পর্কে অশোক তারা বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। এই উদ্ধার অভিযান নিয়ে ভারতের নয়াদিল্লি থেকে প্রকাশিত হয়েছে ‘দি লোন উল্ফ’ (দি আনটোল্ড স্টোরি অব দ্য রেসকিউ অব শেখ হাসিনা) নামে একটি বই। এই বইয়ে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়াকে অশোক তারা বলেন, বাড়িটি ঘিরে ছিল এক ডজন পাকিস্তানি সৈন্য। সুরক্ষিত বাড়িটির দিকে তারা সবাই রাইফেল তাক করেছিল। পরিস্থিতি ভয়াবহ যাতে না হয়, সেজন্য নিজের সঙ্গীদের কাছে অস্ত্র রেখে তিনি নিরস্ত্র অবস্থায় সামনে পা বাড়ান। কয়েক পা এগোতেই বাধা দেয় পাকিস্তানি সেনারা। তাকে সতর্ক করে, আরও কাছে এলেই গুলি করা হবে। রাইফেল অশোক তারার দিকে তাক করার পরও তিনি থামলেন না। হিন্দি আর পাঞ্জাবিতে বোঝানোর চেষ্টা করলেন- যুদ্ধ শেষ হয়েছে, বাংলাদেশ এখন স্বাধীন। মিত্রবাহিনীর কাছে পাকিস্তানি সৈন্যরা আত্মসমর্পণ করেছে। এমনিতেই পাকিস্তানি এই সেনা দলটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। অনেকটা উদভ্রান্ত, কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলে মনে হচ্ছিল তাদের। মেজর অশোক তাদের বললেন, তোমরা অস্ত্র নামিয়ে ফেলে আত্মসমর্পণ করলে পাকিস্তানে ফিরে যেতে দেওয়া হবে। পরিবার পরিজনের কাছে ফিরে যেতে পারবে। আর যেহেতু যুদ্ধ শেষ তাই অন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া শুভ হবে না। কিন্তু পাকিস্তানি এই ছোট সেনা দলটির কাছে পরাজিত হওয়ার খবর ছিল না।
অশোক তারা তখন পাক সেনাদের বলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ১৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ গতকাল আত্মসমর্পণ করেছে, ঢাকায় তাদের ক্ষমতার পতন হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানি সৈন্যরা তা বিশ্বাস করতে চাইছিল না। অশোক তারা বলেন, ‘আমি তাদের বললাম, যদি এটা সত্যি না হতো, তবে একজন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা নিশ্চয়ই তাদের সামনে অস্ত্র ছাড়া এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারত না।’ নিজের কথার প্রমাণ হিসাবে মাথার ওপর উড়তে থাকা কয়েকটি ভারতীয় হেলিকপ্টার দেখিয়ে দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি সেনা দলটি পরিস্থিতি দেখে মানতে বাধ্য হন, তারা হেরে গেছেন। তখন বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে বেরিয়ে আসতে দেন। সেই সময়ের কথা উল্লেখ করে অশোক তারা টাইম অব ইন্ডিয়াকে বলেন, তখন তিনি ২৯ বছরে পা দিয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধা বিচ্ছু জালাল জানান, তিনিও অস্ত্রহীন অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার অভিযানে নিরস্ত্র অশোক তারার সঙ্গে তার পেছন পেছন গিয়ে বাড়িটিতে পৌঁছান। তখন বাড়ির জানালা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা চিৎকার করে তাদের উদ্ধারের জন্য ভারতীয় সেনাদের অনুরোধ করছিলেন। দুদিন ধরে অভুক্ত রয়েছেন বলে তাদের জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এই উদ্ধার অভিযানে আজিমপুর ক্যাম্প হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের দলটি তাদের আগেই ওই বাড়ির সামনে পৌঁছে জানিয়ে বিচ্ছু জালাল বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল জিপ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। শাহনেওয়াজ বাড়ির কাছে গিয়েই বাংকার বাংকার বলে চিৎকার করেন। তখন টমিগান দিয়ে পাক সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি করেন মুক্তিযোদ্ধা জাইবুল আনাম খান। এসময় পাকিস্তানি সেনারা পাল্টা ব্রাশ ফায়ার করলে সাইফুলের পায়ে গুলি লাগে। অশোক তারা মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের কৌশল অবলম্বন করে ১১ পাক সেনার কবল থেকে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের যখন মুক্ত করেন, ততক্ষণে ত্রিপুরার সাংবাদিক অনিল ভট্টাচার্য এবং ফটোসাংবাদিক রবীন ৫০-৬০ সদস্যের ভারতীয় একটি সেনা দল নিয়ে বাড়ির সামনে এসে উপস্থিত হয়েছেন। বাইরে তখন ক্ষুব্ধ জনতা পাকিস্তানি আর্মিদের ওপর হামলা চালাতে উদ্যত।
কিন্তু বেগম মুজিব ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বারবার হামলা চালাতে বারণ করছিলেন। কারণ বঙ্গবন্ধুর এক ছেলেকে এই বাড়ি থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যেতে সহযোগিতা করেছিলেন দুই পাকিস্তানি সেনা। ওই দুই সেনার কোনো ক্ষতি হোক তা চাচ্ছিলেন না বেগম মুজিব ও বঙ্গবন্ধুকন্যা। তাদের (বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের) উদ্ধারের পর বাড়িটি থেকে পাক সেনাদের বন্দি করে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যরা এই বাড়িতেই থাকেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে ওঠেন ধানমন্ডির এ বাড়িতেই।
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেদিন বাড়িটিতে হানাদার সেনারা মারাত্মক খুনের মেজাজে ছিল। বাড়িটির কিছু দূরেই গুলিবিদ্ধ একটি গাড়ি, তার ভেতরে একজন সাংবাদিকের লাশ দেখতে পান বলে বিবিসিকে জানান মেজর তারা। লাশটি থেকে তখনো রক্ত ঝরছিল। ওই সাংবাদিক বাড়িটির দিকে এগোনোর চেষ্টা করলে হানাদার বাহিনী তাকে গুলি করে। আশপাশের লোকজন মেজর তারাকে জানিয়েছিলেন, আরও সকালের দিকে স্থানীয় একটি পরিবারকেও গুলি করে পাক সেনারা। ১৮ নম্বর সড়কের সেই বাড়িতে তখনো পাকিস্তানের পতাকা উড়ছিল। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ফুফাতো ভাই মমিনুল হক খোকা মেজর তারাকে বাংলাদেশের একটি পতাকা এনে দেন। মেজর তারা বাড়ির ছাদ থেকে পাকিস্তানের পতাকা ছুড়ে ফেলে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান। পাকিস্তানের পতাকাটি মাটিতে পড়তেই বেগম মুজিব সেটিকে তার পায়ের নিচে পিষে চিৎকার করে বলেন, ‘জয় বাংলা’।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেজর অশোক তারাকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা জানান। একাত্তরে অনবদ্য অবদানের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার ২০১২ সালে মেজর অশোক তারাকে সম্মাননা দেয়।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।