রবিবার ২২ জুন ২০২৫, ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদের নোটিশের প্রতিবাদ বিশিষ্টজনদের

প্রকাশিত : ১০:০৮ অপরাহ্ণ, ২০ মার্চ ২০২৩ সোমবার ১০৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্টজনেরা। এই বরেণ্য অর্থনীতিবিদকে ক্রমাগত হেনস্তা করা হচ্ছে অভিযোগ করে তারা বলছেন, এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, শিক্ষাবিদ, ভাষা ও চেতনা সমিতির প্রধান ইমানুল হক বলেন, অমর্ত্য সেন বাংলার বিবেক, ভারতের বিবেক, গোটা বিশ্বের বিবেক। তিনি ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে গণতন্ত্রের পক্ষে, মানুষের স্বাধিকারের পক্ষে। আর এ কারণে অমর্ত্য সেনের মতো মানুষেরা বারবার শাসকের রোষানলে পড়েন।

ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি সুবোধ সরকার বলেন, এই বয়সে যেভাবে অমর্ত্য সেনকে বিপন্ন করা হয়েছে, তাতে কেবলমাত্র আমরাই নই, বিশ্বভারতীর প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত। যদিও ক্ষমা চাওয়ার পরেও সেই দাগ উঠবে না। অমর্ত্য সেনের মতো একজন পণ্ডিত, মানবিক অর্থনীতিবিদের গায়ে হয়তো কোনো দাগ পড়বে না, পড়ার কথাও নয়। কিন্তু আমাদের মনে সেই দাগ থেকে গেল।

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য পবিত্র সরকার বলেন, অমর্ত্য সেন সজ্ঞানে কোনো অন্যায় করেননি। তার বাবা একটা জমি লিজ নিয়েছিলেন, সেখানে কিছু গণ্ডগোল হতেই পারে। এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং তার অধীন ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর শেষ কথা বলবে। কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বা তার উপাচার্য কেন এত সক্রিয়ভাবে অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদের নোটিশ দিলেন? এর মধ্যে কোনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আছে কিনা জানা নেই।

রোববার অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদের নোটিশ দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার পশ্চিমবঙ্গের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর নথি প্রকাশ্যে এনে জানায়, বাবা আশুতোষ সেনের নামে থাকা জমি ছেলে অমর্ত্যের আবেদনের ভিত্তিতে তার নামে করে দেওয়া হয়েছে। দপ্তর থেকে অমর্ত্যের বাড়ির মৌজা, দাগ নম্বর ধরে জমির খতিয়ান প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত ওই সরকারি নথি অনুসারে, বোলপুর ব্লকের সুরুল মৌজার ১৯০০/২৪৮৭ দাগ এবং খতিয়ান নম্বর ২৭০-এর জমিটির মিউটেশন তার নামে রয়েছে। জমির পরিমাণ ১.৩৮ একর।

এদিকে, সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাত বলেছেন, উত্তরাধিকার সূত্রে অমর্ত্য সেনের নামে জমি রেকর্ড হওয়ায় আপত্তি নেই বিশ্বভারতীর। তবে বিশ্বভারতী ১.২৫ একর জমি ইজারা দিয়েছে, ১.৩৮ একর নয়।

তিনি আরও বলেন, ২৯ মার্চ জমির নথি নিয়ে সশরীরে অমর্ত্য সেন বা তাঁর প্রতিনিধি না এলে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে উচ্ছেদ বা আইনি পথে হাঁটবে বিশ্বভারতী।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT