বুধবার ১৮ জুন ২০২৫, ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হার্ট সার্জারি কিডনির ক্ষতি করতে পারে?

প্রকাশিত : ০৮:৩১ পূর্বাহ্ণ, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ বুধবার ৩২ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

হার্ট সার্জারি বা অস্ত্রোপচারের পরে কেন কিডনির ক্ষতি হয় তা বোঝার ক্ষেত্রে বড় অগ্রগতির দাবি করেছেন গবেষকরা।

এজন্য ‘ফ্লোরি ইনস্টিটিউট’-এর গবেষকরা হার্ট সার্জারি রোগীদের ডাক্তারদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন।

অস্ত্রোপচারের সময় ও এর পরে কিডনির স্বাস্থ্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে বিশ্বে প্রথমবারের মতো প্রাণী মডেল তৈরি করেছেন তারা, যা তাদের ‘হার্ট-লাং’ বা হার্ট-ফুসফুস মেশিন ব্যবহার করলে কিডনির কী ঘটে তার বিস্তারিত ধারণা দিয়েছে।

মেশিনটি এক ধরনের জীবন রক্ষাকারী ডিভাইস, যা হার্টে সার্জারির সময় হৃদযন্ত্র বন্ধ থাকা অবস্থায় দেহে রক্ত ও অক্সিজেন প্রবাহ বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে এ গবেষণায় উঠে এসেছে, এটি হৃদযন্ত্রের উপকার করলেও কিডনির ক্ষতি করতে পারে।

এ গবেষণায় মডেল হিসেবে ১২টি ভেড়ার অস্ত্রপাচার করেছেন গবেষকরা। অস্ত্রোপচারের আগে, অস্ত্রোপচার চলাকালীন ও অস্ত্রোপচারের কয়েক সপ্তাহ পরে এদের কিডনির স্বাস্থ্যের ওপর নজর রাখেন তারা।

গবেষকরা বলছেন, হার্ট-ফুসফুস মেশিন ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে কিডনিতে রক্ত প্রবাহ ও অক্সিজেনের মাত্রা দ্রুত কমে যায়।

অস্ত্রোপচার শেষ হওয়ার পরেও অক্সিজেনের এ অভাব কমেনি এবং এ অবস্থা কয়েক সপ্তাহ ধরে ছিল। এমনকি অপারেশনের চার সপ্তাহ পরেও কিডনিতে অক্সিজেনের মাত্রা কম ছিল।

এ চলমান অক্সিজেন ঘাটতির ফলে দেহে নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। যেমন– প্রদাহ, কোষের মৃত্যু ও শেষ পর্যন্ত কিডনি টিস্যুতে ক্ষত। এগুলো সবই গুরুতর আঘাতের লক্ষণ।

গবেষকরা বলছেন, এর থেকে ইঙ্গিত মেলে কেন অনেক রোগীর হার্ট সার্জারির পরে ‘অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি’ বা একেআই হয় এবং কেউ কেউ পরে কেন দীর্ঘমেয়াদি ‘ক্রনিক কিডনি ডিজিস’ বা সিকেডি’তে আক্রান্ত হন।

অস্ত্রোপচারের পরে প্রথম দুই দিনে প্রায় অর্ধেক ভেড়ার মধ্যে একেআই দেখা দিয়েছে। চার সপ্তাহ পরেও এদের মধ্যে এ সমস্যা রয়ে গিয়েছে। কেবল কিডনি কীভাবে কাজ করছে তা নয়, বরং একটি মাইক্রোস্কোপের নীচে টিস্যু কীভাবে কাজ করে তাও দেখিয়েছে।

গবেষণার নেতৃত্ব দেওয়া অধ্যাপক যুগেশ লঙ্কাদেব বলেছেন, গবেষণার ফলাফল দীর্ঘদিনের চিকিৎসা রহস্যের ওপর নতুন আলো ফেলেছে।

তিনি বলেছেন, আমাদের কাছে এখন স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে, হার্ট সার্জারির কারণে কিডনিতে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায় এবং এই কমতি কিডনির ওপর প্রভাব ফেলে।অস্ত্রোপচার ও কিডনির মধ্যে এই যোগসূত্রটি কীভাবে স্বল্পমেয়াদী ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী রোগে পরিণত হতে পারে তা বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এ গবেষণার জন্য অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি বড় হাসপাতালের কার্ডিয়াক অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট, সার্জন, আইসিইউ ডাক্তার ও পারফিউশনিস্টদের সঙ্গে কাজ করেছেন গবেষকরা।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT