সোমবার ২৩ জুন ২০২৫, ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুদানে হাসপাতালে হামলায় নিহত ৭, গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা

প্রকাশিত : ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ, ৪ মে ২০২৫ রবিবার ৪৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

দক্ষিণ সুদানের একটি শহরে হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। হামলায় আরও ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসাসেবাদানকারী দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ)। বিশ্বের সবচেয়ে নবীন রাষ্ট্রটি আবারও পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে—এমন আশঙ্কা ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। খবর আল জাজিরা।

এমএসএফ শনিবার জানায়, দেশটির উত্তরের ওল্ড ফ্যাঙ্গাক শহরে চালানো হামলায় শেষ অবশিষ্ট কার্যকর হাসপাতাল ও ফার্মেসি ধ্বংস হয়ে গেছে। পাশাপাশি এ হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করে এক্সে দেওয়া এক পোস্টে সংস্থাটি আহ্বান জানায়, ‘বোমাবর্ষণ বন্ধ করুন। বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করুন। স্বাস্থ্যসেবাকে রক্ষা করুন।’

এদিকে হামলায় হাসপাতালটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল কেন, তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। দক্ষিণ সুদানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে, কয়েক ঘণ্টা পর ওল্ড ফ্যাঙ্গাকের একটি বাজারের কাছেও আরো হামলা চালানো হয়। এতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় ও সাধারণ মানুষ পালিয়ে যায়।

প্রেসিডেন্ট সালভা কিরের অনুগত বাহিনীর সঙ্গে ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়েক মাশার ঘনিষ্ঠ বাহিনীর মধ্যে টানাপোড়েন চরমে উঠেছে। ওল্ড ফ্যাঙ্গাক হলো ফ্যাঙ্গাক কাউন্টির একটি বড় শহর, যা মূলত নুয়ের জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত।

ওই অঞ্চল ঐতিহাসিকভাবে মাশারের বিরোধীদলের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে কথিত বিদ্রোহের অভিযোগে গৃহবন্দি রয়েছেন মাশার।

এদিকে জাতিসংঘ সম্প্রতি সতর্ক করে জানিয়েছে, দক্ষিণ সুদান ফের পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। কারণ প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।

২০১১ সালে স্বাধীনতা লাভের অল্প সময় পরই দক্ষিণ সুদান রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।

ডিনকা জাতিগোষ্ঠীর প্রেসিডেন্ট কিরের অনুগত বাহিনী লড়াইয়ে নামে মাশারের (নুয়ের জাতিগোষ্ঠী) অনুগত বাহিনীর বিরুদ্ধে। এই সংঘাতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। পরে ২০১৮ সালের শান্তিচুক্তির মাধ্যমে কির ও মাশার একটি জাতীয় ঐক্য সরকার গঠন করেন।

সাম্প্রতিক এই হাসপাতালে হামলা দেশব্যাপী বিরোধীদলের ওপর সরকারি অভিযানের সর্বশেষ উদাহরণ। মার্চ মাস থেকে শুরু করে উগান্ডার সেনাদের সহযোগিতায় দক্ষিণ সুদানের সরকারি বাহিনী প্রতিবেশী আপার নাইল রাজ্যে বিরোধী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে বহু বিমান হামলা চালিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক পশ্চিমা দূতাবাস শুক্রবার যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, দক্ষিণ সুদানে সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি ‘উল্লেখযোগ্যভাবে অবনতির দিকে যাচ্ছে’। তারা মাশারকে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রেসিডেন্ট কিরকে বলেছে, ‘রাজনৈতিক সমাধান অর্জনে তাৎক্ষণিকভাবে সংলাপে ফিরতে হবে।’

অন্যদিকে দেশটিতে ২০২৩ সালে নির্ধারিত সাধারণ নির্বাচন ইতিমধ্যে দুইবার স্থগিত করা হয়েছে। এখন সেটি ২০২৬ সালের আগে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT