শনিবার ২৪ মে ২০২৫, ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
◈ হঠাৎ বিকল মেঘনা ট্রেনের ইঞ্জিন, আটকা শত শত যাত্রী ◈ আমার বাসস্থানে এসে শপথ পড়ানোর প্রস্তাব দিলেও লাভ নাই: ইশরাক ◈ পদ্মায় রেলসহ ২৫৮ প্রকল্প সমাপ্তির লক্ষ্য নির্ধারণ ◈ ইশরাক ইস্যুতে বিক্ষোভ যৌক্তিক ও সঙ্গত মনে করে বিএনপি ◈ সুনামগঞ্জে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য গ্রেফতার ◈ বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান বিচারপতির মতবিনিময় সভা ◈ তিস্তার পানিতে ভেসে গেছে কৃষকের স্বপ্ন, বন্যার শঙ্কা ◈ ধানমন্ডির ঘটনায় হান্নান মাসউদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে ইসির সামনে এনসিপির বিক্ষোভ আজ ◈ যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষাখাতে সাইবার হামলা, ৬ কোটি শিক্ষার্থীর তথ্য চুরি

সড়ক-নৌ-রেলপথে ভোগান্তি নেই

প্রকাশিত : ০৪:৪২ পূর্বাহ্ণ, ২৬ মার্চ ২০২৫ বুধবার ৩৩ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ঈদুল ফিতর উদযাপনে সড়ক, নৌ ও রেলপথে ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছেন মানুষ। টার্মিনাল, লঞ্চঘাট ও রেল স্টেশন কোথাও জটলা ও ঝামেলা নেই। বৃহস্পতিবার থেকে দুর্ভোগ বাড়তে পারে এমন শঙ্কায় হাজার হাজার মানুষকে আগেভাগে ঢাকা ছাড়তে দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, হাজার হাজার পরিবার ট্রেন, বাস ও লঞ্চে করে ঢাকা ছাড়ছেন। কমলাপুর, সদরঘাট, গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালীসহ নগরীর অন্যান্য বাস টার্মিনাল ও বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীরা তেমন ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন।

গাবতলী টার্মিনালে মিলছে সব রুটের বাসের টিকিট। পবিত্র ঈদুল ফিতর ৩০ অথবা ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেই হিসাবে বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার থেকে ভিড় বাড়বে।

হানিফ পরিবহণের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে কাউন্টারে তেমন ভিড় নেই। তবে গার্মেন্ট ও সরকারি ছুটির কারণে ২৭, ২৮ ও ২৯ মার্চ থেকে যাত্রীর চাপ বাড়বে।

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, স্বল্প পরিসরে কিছু লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে। সেগুলো আবার যাত্রীতে পূর্ণও না। লঞ্চ মালিকরা মুখিয়ে রয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে তিন চার দিনের যাত্রী পরিবহণের আশায়। লঞ্চ পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জানান, এক সময় সদরঘাটে লঞ্চের রমরমা ব্যবসা ছিল। পদ্মা সেতু চালুর পর সে ব্যবসা নেই। বলা চলে খুঁড়িয়ে চলছে লঞ্চ ব্যবসা। ঈদের সময় কিছুটা ব্যবসা হয়, সেই অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।

আর কমলাপুর রেল স্টেশনে দেখা যায়, আগে থেকে টিকিট কাটা যাত্রীরা নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছেন। এখন পর্যন্ত শিডিউল বিপর্যয় ঘটেনি। কর্তৃপক্ষ এখনকার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

যাত্রী হয়রানি দূর করতে টার্মিনালে সিসিটিভি বসানো হবে: ছিনতাই ও যাত্রী হয়রানি দূর করতে টার্মিনালগুলোয় সিটি করপোরেশন, ট্রাফিক পুলিশ এবং বিআরটিএ’র সমন্বিত উদ্যোগে সিসিটিভি, ইলেকট্রনিক মনিটরিং পদ্ধতি বসানো হবে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। মঙ্গলবার ঢাকার সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে সিসিটিভির আওতায় মনিটরিং কার্যক্রম পরিদর্শন ও উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, সরেজমিন পরিদর্শনে বাস টার্মিনাল সম্পূর্ণ নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বেষ্টনীর আওতায় আনার ক্ষেত্রে সিসিটিভি স্বল্পতা পরিলক্ষিত হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিসিটিভির সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এবং যাত্রী ভোগান্তি কমাতে সব ধরনের সহযোগিতা নিয়ে পাশে থাকবে সরকার।’

পরিদর্শনকালে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রেলের টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে গ্রেফতার ৮: রাজধানীতে রেলের টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সোমবার রাজধানীর কমলাপুর এবং বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাব-১ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেফতার আটজনের মধ্যে তিন জন রেলওয়ের আউটসোর্সিং কর্মচারী। তারা হলেন-মূলহোতা উত্তম চন্দ্র দাস, তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হাবীব আহমেদ, মো. ফারুক, আব্দুল্লাহ আল মুমিন, প্রকাশ চন্দ্র রায়, রেলওয়ের আউটসোর্সিং কর্মচারী মো. জুবায়ের, মো. সোহেল রানা ও কামরুজ্জামান। তাদের কাছ থেকে ১২টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৩ লাখ ৩ হাজার ৪২ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপ-অধিনায়ক লে. কমান্ডার মোহাম্মদ জাকিউল করিম বলেন, চক্রের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিতকরণ এবং তথ্য উদঘাটনে বিমানবন্দর স্টেশন এলাকায় ফাঁদ পাতা হয়। ওই ফাঁদে প্রথমে পা দেয় চক্রের মূলহোতা উত্তম চন্দ্র দাস। তাকে ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন এলাকা হতে একটি অনলাইন টিকিটের প্রিন্টেড কপিসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে র‌্যাব-১ এর গোয়েন্দা দল অন্যদের গ্রেফতার করে।

আদায় করা হচ্ছে চাঁদা ও অতিরিক্ত ভাড়া : টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ততই বাড়ছে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ। যানজট না থাকায় স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ। তবে অভিযোগ রয়েছে-যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে পুলিশের পক্ষ থেকে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিক সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে।

হেনা বেগম নামের একজন যাত্রী জানান, স্বাভাবিক সময়ে সিরাজগঞ্জের ভাড়া ৫০ টাকা। আজকে দুইশ টাকা দাবি করছে। অপর যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, ৩০০ টাকার ভাড়া ৬০০ টাকা চাচ্ছে বাসের সহকারীরা। ঈদকে কেন্দ্র করে আমাদের গলা কাটা হচ্ছে।

পাবনাগামী রহিম মিয়া নামের এক বাস চালক বলেন, আগে ৩০ টাকা চাঁদা দিলেও আজকে ৫০ টাকা দিলেও নিচ্ছে না। তারা ৮০ টাকা চাঁদা দাবি করছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT