বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শরণার্থী শিবিরে হামলার নেতৃত্বদানকারী ব্রিগেড কমান্ডার নিহত

প্রকাশিত : ০৯:০৮ পূর্বাহ্ণ, ২১ অক্টোবর ২০২৪ সোমবার ৪৩ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ফিলিস্তিনের গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলার নেতৃত্বদানকারী ইসরায়েলি ব্রিগেড কমান্ডার নিহত হয়েছেন। সোমবার (২১ অক্টোবর) আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাবালিয়ায় পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে ইসরায়েলি কমান্ডার নিহত হয়েছেন। তিনি ওই এলাকায় আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। নিহত আহসান ডাকসা ইসরায়েলের ৪০১তম আর্মার্ড ব্রিগেডের কমান্ডার ছিলেন। তার দল নিয়ে উত্তর গাজার জাবালিয়ায় নতুন একটি অপারেশনে যাচ্ছিলেন। পথে তার ট্যাংকটি পেতে রাখা বিস্ফোরণের ফাঁদে পড়ে। এতে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভয়ংকর বিস্ফোরণে ট্যাংকের ভেতরে থাকা কমান্ডার আহসান নিহত হন।

বিষয়টি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কমান্ডার তার ট্যাংক নিয়ে টহল দিচ্ছিলেন। হঠাৎ এ ঘটনা ঘটে। এতে আরও দুই ইসরায়েলি সৈন্যও আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ৪১ বছর বয়সী আহসান দ্রুজ সম্প্রদায়ের মানুষ। বছরব্যাপী গাজা যুদ্ধে নিহত ইসরায়েলি সেনা কমান্ডারদের মধ্যে অন্যতম তিনি। এ অফিসার মাত্র চার মাস আগে ব্রিগেড কমান্ডার নিযুক্ত হন এবং জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে আক্রমণে নেতৃত্ব দেন। তার মৃত্যুতে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধে দেশটির নিহত সেনার সংখ্যা ৩৫৮ জনে দাঁড়াল।

শরণার্থী শিবিরে হামলার নেতৃত্বদানকারী ব্রিগেড কমান্ডার নিহত
৪ মিনিটে ইসরায়েলে ৭০টি রকেট হামলা
এদিকে কমান্ডারের মৃত্যুতে বিবৃতি দিয়েছেন ইসরায়েলের রাষ্ট্রপতি আইজ্যাক হারজোগ। তিনি আহসানকে একজন হিরো বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেন, ইসরায়েল এবং ইসরায়েলি সমাজের জন্য এটি বড় ক্ষতি।

এদিকে গাজা ও লেবাননে একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় ডজন ডজন মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা ও লেবাননে তারা ১৭৫টি হামলা চালিয়েছে।

রোববার (২০ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের বিমানবাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা এবং লেবাননে আনুমানিক ১৭৫টি লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করেছে। এ সময়ে হিজবুল্লাহ এবং হামাসের ব্যবহৃত অস্ত্রের গুদাম, রকেট উৎক্ষেপণ সাইট এবং অন্যান্য অবকাঠামোতে হামলা চালানো হয়েছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT