সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোমে বাংলাদেশিদের জন্য পৃথক মুসলিম কবরস্থানের উদ্যোগ

প্রকাশিত : ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ, ১৭ মার্চ ২০২৫ সোমবার ১০ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইতালির রাজধানী রোমে বাংলাদেশি মুসলিমদের জন্য একটি পৃথক কবরস্থান স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত এ টি এম রকিবুল হক। এ বিষয়ে তিনি রোমের মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং ইতিবাচক আশ্বাসও পেয়েছেন।

এর অংশ হিসেবে রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি রোমের প্রিমাপর্তা কবরস্থান পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি আসিফ আনাম সিদ্দিক। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও রোমের ৯ নং মিউনিসিপিও-এর সাবেক কাউন্সিলর এস এম সাইফুল ইসলাম এবং তরপিনাত্ত্বার মুসলিম সেন্টার (টিএমসি)-এর সেক্রেটারি মো. মশিয়ার রহমান মিন্টু।

এ সময় রাষ্ট্রদূত এ টি এম রকিবুল হক প্রবাসী বাংলাদেশিদের আশ্বস্ত করে জানান, তিনি রোমের মেয়রের সঙ্গে আরও আলোচনার মাধ্যমে মুসলিম কমিউনিটির জন্য একটি পৃথক কবরস্থান প্রকল্প বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং তারা আশা প্রকাশ করেছেন, এটি বাস্তবায়িত হলে মুসলিম অভিবাসীদের দীর্ঘদিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা পূরণ হবে।

প্রসঙ্গত, ইতালিতে বাংলাদেশি অভিবাসীদের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতালির জাতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটের ২০২৪ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটিতে বৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকের সংখ্যা প্রায় এক লাখ ৯২ হাজার ৬৭৮ জন, যা বিদেশি সম্প্রদায়ের মধ্যে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। অবৈধ অভিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করলে এ সংখ্যা ২ লাখেরও বেশি হতে পারে। মুসলিম জনগোষ্ঠীর ভিত্তিতে বাংলাদেশিরা ইতালিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে, যেখানে আলবেনিয়া ও মরক্কো যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

শুধুমাত্র রাজধানী রোমে বর্তমানে প্রায় সাড়ে তিন লাখ বিদেশি নাগরিক বসবাস করছেন, যেখানে বাংলাদেশিরা সংখ্যার দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন। রোমে মোট বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে বাংলাদেশি বৈধ অভিবাসী সংখ্যা ৩৪ হাজার ৪৮৩ জন। অবৈধসহ বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে রোমে মুসলিমদের জন্য পৃথক কবরস্থানের অভাব একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে সরকার বরাদ্দকৃত কবরস্থানে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মুসলিমদের দাফন করা হচ্ছে।

বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা মনে করছেন, পৃথক কবরস্থান প্রতিষ্ঠিত হলে এটি শুধু ধর্মীয় অনুভূতির সম্মান জানাবে না বরং এটি প্রবাসীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন হিসেবেও বিবেচিত হবে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT