শনিবার ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রতন টাটার উত্তরসূরির নাম ঘোষণা

প্রকাশিত : ০৭:৫২ পূর্বাহ্ণ, ১২ অক্টোবর ২০২৪ শনিবার ২১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ভারতের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি রতন টাটার চিরবিদায়ের দুই দিনের মাথায় তার উত্তরসূরি মনোনীত হয়েছেন। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) মুম্বাইয়ে টাটা গ্রুপের এক সভায় উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করা হয়।

টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ছিলেন রতন টাটা। এই ট্রাস্টের পরবর্তী চেয়ারম্যানকে মোটাদাগে তার উত্তরসূরি হিসেবে ধরা হচ্ছে। কারণ, রতন টাটা ছিলেন চিরকুমার। স্ত্রী বা সন্তান না থাকায় তার রেখে যাওয়া প্রায় ৪ হাজার কোটি রুপির উত্তরসূরি নিয়ে কল্পনা-জল্পনা শুরু হয়। যদিও এসব সম্পদ তিনি বিকেন্দ্রীকরণ করেছিলেন। যাতে তার মৃত্যুর পর গ্রুপটি মুখ থুবড়ে না পড়ে।

ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সদ্য প্রয়াত ভারতের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি রতন টাটার সৎভাই নোয়েল টাটাকে টাটা ট্রাস্টের পরবর্তী চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়েছে। এই ট্রাস্টের পরিচালনা পর্ষদ শুক্রবারের সভায় সর্বসম্মতিতে তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করে।

৬৭ বছর বয়সী নোয়েল রতন টাটার ছায়া হয়ে কাজ করে আসছিলেন। তিনি টাটা ট্রাস্টের নেতৃত্বে আসার খবর গ্রুপটির জন্য স্বস্তির। কারণ, এ ট্রাস্ট্রের মাধ্যমে গ্রুপটির অধিকাংশ ব্যবসা পরিচালিত হয়।

বুধবার (০৯ অক্টোবর) রাতে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে পারসিক পরিবারে জন্ম হয় রতন টাটার। রতন টাটার যখন ১০ বছর বয়স, সেই সময় তার মা-বাবা আলাদা হয়ে যান। তার দাদি নওয়াজবাই টাটার কাছে বেড়ে ওঠেন তিনি। রতন টাটার এক ভাই জিমি টাটা, আরেকজন সৎভাই নোয়েল টাটা।

১৯৯১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ছিলেন এই রতন টাটা। দীর্ঘদিন ধরে রাজত্ব ধরে রাখা এই শিল্পপতি ব্যাপক সাফল্য অর্জন করলেও সাধারণ মানুষের মনে সর্বদা একটি প্রশ্ন ছিল, কেন রতন টাটা অবিবাহিত? তবে মজার ব্যাপার হলো, একবার নয় দুবার নয়, রীতিমতো চারবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে, প্রায় তার বিয়ে হয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু নানা কারণে বিয়ে করতে পারেননি। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে কাজ করার সময় তিনি প্রেমে পড়েছিলেন। কিন্তু ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের কারণে মেয়েটির বাবা-মা তাকে ভারতে পাঠানোর বিরোধিতা করেন। সে সময় তিনি দেশে ফিরে আসেন। এরপর আর বিয়ে করা হয়নি তার।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT