বুধবার ১৮ জুন ২০২৫, ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৩৫ জনের প্রাণহানি, কি হচ্ছে শাদে?

প্রকাশিত : ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ণ, ১৬ মে ২০২৫ শুক্রবার ৩২ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

আফ্রিকার স্থলবেষ্টিত দেশ শাদের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় লোগোন-অক্সিডেন্টাল অঞ্চলে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত এবং ৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির সরকারের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, যদিও এ সংঘর্ষে কারা জড়িত ছিল সে বিষয়ে সরকার সরাসরি কিছু বলেনি। তবে অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে আন্তঃজাতিগত ও ধর্মীয় উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে।

শাদ সরকারের মুখপাত্র ও যোগাযোগমন্ত্রী গাসিম শরিফ মেহমেত বলেন, ‘মর্মান্তিক এই সংঘর্ষে ৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ছয়জন আহত হয়েছেন। প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে’।

শাদের দক্ষিণাঞ্চলে বারবারই সহিংসতার ঘটনা ঘটে থাকে। সেখানে প্রধানত খ্রিস্টান ও অ্যানিমিস্ট (প্রকৃতিপূজক) কৃষক সম্প্রদায়দের সঙ্গে যাযাবর মুসলিম পশুপালকদের বিরোধ নিয়েই সহিংসতা দেখা দেয়। এ সংঘর্ষের পেছনে রয়েছে মূলত জমি, পানি ও পশুর চারণভূমির ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধ।

দক্ষিণ শাদের কৃষক সম্প্রদায়গুলো প্রধানত খ্রিস্টান ও অ্যানিমিস্ট। তারা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, মুসলিম-প্রধান উত্তরাঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করা ক্ষমতাসীন সরকারই মূলত তাদের প্রতি অবিচার ও অবহেলা করছে।

জাতিগত ও ধর্মীয় প্রেক্ষাপট

শাদ মূলত জাতিগতভাবেই একটি বিচিত্র দেশ। সেখানে আরব এবং আফ্রিকান জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বাস করে। দেশটির উত্তরে মুসলিম যাযাবর সম্প্রদায়ের আধিপত্য এবং দক্ষিণে বসবাসকারী কৃষিভিত্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বিদ্যমান।

সরকারের ভূমিকা

সরকার প্রায়ই তাদের মধ্যকার সংঘর্ষগুলোকে ‘স্থানীয় বিরোধ’ বলে উল্লেখ করলেও বিশ্লেষকরা মনে করেন, এটি বৃহত্তর কাঠামোগত বৈষম্য ও গভীর সামাজিক বিভাজনের বহিঃপ্রকাশ।

যদিও নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে সরকার দাবি করছে, তবে অতীত অভিজ্ঞতা বলছে— এ ধরনের সহিংসতার পর প্রতিশোধ ও পাল্টা আক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যায়। বিশেষ করে যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিকে পক্ষপাতদুষ্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT