সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরও গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৭৭

প্রকাশিত : ০৮:০৮ পূর্বাহ্ণ, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার ৩৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পরও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে গাজা সিটি, মধ্য গাজা ও দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে পৃথক হামলায় তারা নিহত হন। সংবাদ সংস্থা আনাদুলো এজেন্সির খবরে এ তথ্য জানানো হয়।

গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসল এক বিবৃতিতে বলেন, বুধবার রাতে নিহতদের মধ্যে ২৫ জন নারী ও ২১ শিশু রয়েছে এবং ২৫০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন।

মুখপাত্র বলেন, গাজা সিটিতে বিমান হামলায় ৬৬ জন, মধ্য গাজা উপত্যকায় চারজন এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে সাতজন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে একটি মেডিকেল সূত্র আনাদোলুকে জানায়, গাজা সিটির একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২০ ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আনাদোলুকে জানিয়েছেন, গাজা সিটির শেখ রাদওয়ান এলাকার একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো ব্যাপক বিমান হামলা চালায়।

গাজা সিটির রিমাল এলাকার একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সিভিল ডিফেন্স।

গাজা সিটিতে তৃতীয় হামলায় আল-দারাজ এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্টে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শেজাইয়া এলাকার একটি বাড়িতে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় একটি ছোট মেয়েও নিহত হয়েছে। এছাড়াও গাজা সিটির সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রের বরাতে আনাদুলো খবরে বলা হয়, গাজা সিটির পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের তেল আল-হাওয়া, জেইতুন এবং আল-সাবরা এলাকা লক্ষ্য করে ইসরায়েলি আর্টিলারি ভারী গোলাবর্ষণের খবর দিয়েছে।

গাজা উপত্যকায় ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি প্রাণঘাতী হামলার অবসানে বুধবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করেছে কাতার। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেছেন, তিন ধাপের এই চুক্তি রবিবার থেকে কার্যকর হবে।

চুক্তির মধ্যে রয়েছে বন্দি বিনিময় এবং টেকসই শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যে।

উল্লেখ্য, গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় প্রায় ৪৬,৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি আহত হয়। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT