মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিরতি ও বন্দিমুক্তি নিয়ে শেষ ভাষণে যা বললেন বাইডেন

প্রকাশিত : ০৬:৫০ পূর্বাহ্ণ, ২০ জানুয়ারি ২০২৫ সোমবার ৩৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

সদ্য বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার টেলিভিশন ভাষণে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং এর অর্জন নিয়ে আলোচনা করেছেন। রোববার তিন ইসরাইলি বন্দির মুক্তি পর দেওয়া তার বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নিচে তুলে ধরা হলো-

বক্তব্যের শুরুতেই ‘আজ গাজায় গোলাগুলি ও বোমার শব্দ থেমে গেছে’ বলে উল্লেখ করেন জো বাইডেন।

তিনি একে তার প্রেসিডেন্সির অন্যতম কঠিন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেন।

একই সঙ্গে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি ইসরাইলের ওপর ক্রমাগত চাপ এবং মার্কিন সরকারের কৌশলগত সমর্থনের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাইডেন দাবি করেন, এই যুদ্ধবিরতি মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান অবস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়।

গাজায় হামাসের প্রভাব এবং লেবাননে হিজবুল্লাহর অবস্থান উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়েছে বলেও মনে করেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলের রাজনীতি এবং নিরাপত্তার কাঠামো এখন মৌলিকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে’।

গাজায় মানবিক সহায়তার প্রসঙ্গে বাইডেন বলেন, যুদ্ধবিরতির ফলে গাজার বেসামরিক জনগণের জন্য সহায়তার পথ খুলে গেছে। গাজার জনগণের জন্য শত শত ট্রাক ত্রাণ সহায়তা নিয়ে প্রবেশ করছে। এই ট্রাকগুলো খাদ্য, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং আশ্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছে।

সফলতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

বাইডেন এ সময় গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক সহযোগিতার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল সংঘাত থামানো এবং এটি আমরা অর্জন করতে পেরেছি। তবে আমাদের কাজ এখানেই শেষ হয়নি। শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে আরও পদক্ষেপ নিতে হবে’।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি

গাজার এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি ১৫ মাস ধরে চলমান সংঘাতের অবসান ঘটানোর প্রথম ধাপ। চুক্তির আওতায়- ইসরাইল ধাপে ধাপে প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে এবং হামাসও ধাপে ধাপে প্রায় ৩৩ জন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেবে।

চুক্তিতে ছয় সপ্তাহের একটি শান্তি সময়কাল নিশ্চিত করা হয়েছে, যা ভবিষ্যৎ আলোচনা এবং দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। সূত্র: আল-জাজিরা ও এপি

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT