বুধবার ১৮ জুন ২০২৫, ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হলেন রুবিও

প্রকাশিত : ০৯:০৬ পূর্বাহ্ণ, ২ মে ২০২৫ শুক্রবার ৩২ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হয়েছেন মারকো রুবিও। তিনি মাইক ওয়াল্টজের স্থলাভিষিক্ত হলেন। রুবিও একইসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করবেন। প্রায় ৫০ বছর আগে হেনরি কিসিঞ্জারের পর আর কাউকে ওই দুই পদে একসঙ্গে দেখা যায়নি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওয়াল্টজকে কার্যত পদত্যাগ করতে বাধ্য করার পর জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিযুক্ত করেন।

বৃহস্পতিবার ওয়াল্টজের সহকারী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আলেক্স ওংও সরে দাঁড়ান।

ট্রাম্প তার সামাজিক মিডিয়া প্লাটফর্ম ট্রুথ সোস্যালে বলেন, ‘আমি ঘোষণা করছি যে, মাইক ওয়াল্টজকে জাতিসংঘে পরবর্তী মার্কিন দূত মনোনীত করছি। মাইক ওয়াল্টজ আমাদের জাতীয় স্বার্থকে সবার ওপরে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আমি জানি, তিনি তার নতুন ভূমিকাতেও তা করবেন।’

আর রুবিওর ব্যাপারে ট্রাম্প বলেন, তিনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দেশের শীর্ষ কূটনীতিকের কাজও চালিয়ে যাবেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‌‘আমরা একত্রে আমেরিকা এবং বিশ্বকে আবার নিরাপদ রাখার জন্য বিরামহীন লড়াই চালিয়ে যাব।’

এই পরিবর্তনের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর তার প্রশাসনে প্রথম বড় ধরনের পরিবর্তন আনলেন।

এর আগে খবর প্রকাশিত হয় যে ট্রাম্পের সঙ্গে ওয়াল্টজের সম্পর্ক অবনতি হওয়ায় তিনি তাকে সরে যেতে বাধ্য করেন।

ধারণা করা হচ্ছে, ইয়েমেনে মার্কিন হামলার সঙ্গে সম্পর্কিত সিগন্যাল অ্যাপের একটি গোপনীয় চ্যাটে এক সাংবাদিককে যোগ করেছিলেন। এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার ভয়াবহ লঙ্ঘন। ওই সময় অবশ্য ট্রাম্প প্রকাশ্যে ওয়াল্টজকে সমর্থন করেছিলেন।

অবশ্য, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পাল্টানো ট্রাম্পের জন্য নতুন কিছু নয়। তিনি তার প্রথম মেয়াদে চার বছরে চারজন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়োগ করেছিলেন। এমনকি অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল মাইকেল ফ্লিন মাত্র চার সপ্তাহ দায়িত্বে ছিলেন।

ওয়াল্টজ ছিলেন সাবেক মার্কিন কংগ্রেস সদস্য। তিনি ২০১৯ সাল থেকে ফ্লোরিডার ষষ্ঠ ডিস্ট্রিক্টের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন। তিনি ২০২৪ সালে তার আসনে পুনঃনির্বাচিত হন। ট্রাম্প প্রশাসনে যোগ দিতে জানুয়ারিতে তিনি কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন।

এরও আগে তিনি বিশেষ বাহিনীর শাখা গ্রিন বেরেট হিসেবে মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স অবশ্য জানিয়েছেন, মাইক ওয়াল্টজকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত হিসেবে নিয়োগ করে তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের নিন্দাও করেন তিনি।

সূত্র : আলজাজিরা, সিএনএন

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT