মঙ্গলবার ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
◈ ঢাকায় গাইবেন পাকিস্তানি গায়িকা আইমা বেগ ◈ ইস্তাম্বুলের মেয়রকে কারাগারে পাঠালো তুরস্কের আদালত, বিক্ষোভে উত্তাল দেশ ◈ গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াল ◈ বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে চীনে বৈঠকে যাচ্ছে বিডা ◈ এপ্রিলে শুরু হচ্ছে স্টারলিংক ইন্টারনেটের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম ◈ ট্রাম্পের ‘দখল’ হুমকির মধ্যেই, কানাডায় আগাম নির্বাচনের ঘোষণা ◈ গত কয়েক দিনে ছাত্র নেতাদের বক্তব্য জাতিকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছে: নুর ◈ ক্যান্সার রোগীদের পাশে ReVouge ও উজ্জ্বলা ফাউন্ডেশন ◈ নাটক বন্ধ করেন, নির্বাচন কবে বলেন: মাসুদ কামাল ◈ ৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন

মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল গাজা, ইউক্রেন ও সুদান যুদ্ধ প্রভাবিত করবে?

প্রকাশিত : ০৯:২৬ পূর্বাহ্ণ, ৪ নভেম্বর ২০২৪ সোমবার ৩৭ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন নির্বাচনের পর শীর্ষ পরাশক্তি এবং তথাকথিত ‹বিশ্ব পুলিশ›-এর নেতা হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে বসে প্রেসিডেন্ট এবং তার প্রশাসন দ্বারা যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, তা সারা বিশ্বে সঙ্ঘাতের ক্ষেত্রে বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে।

ওয়াশিংটনের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে, গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের যুদ্ধ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং সুদানের গৃহযুদ্ধে সম্মিলিতভাবে লাখ লাখ মানুষ নিহত ও বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এই সঙ্ঘাতগুলি আরও খারাপ বা সমাপ্ত হতে পারে কিনা, তা নির্ভর করছে রিপাবলিকান প্রার্থী ও প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের মধ্যে ৫ নভেম্বর মার্কিন নির্বাচনে কে জয়ী হবেন, তার উপর।

গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের যুদ্ধ: হ্যারিস এবং ট্রাম্প উভয়েই ইসরায়েলের পক্ষে তাদের সমর্থনে দ্ব্যর্থহীন। অতএব, বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি এবং বৃহত্তর আরব বিশ্ব উভয় প্রার্থীর কারেরার মাধ্যমেই যুদ্ধের সমাপ্তির সম্ভাবনা খুব কম দেখছে।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম মেয়াদে ট্রাম্পের সরকার বিতর্কিত শহর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন, যা ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়। তিনি আব্রাহাম চুক্তির অধীনে ইসরায়েল, বেশ কয়েকটি আরব দেশের মধ্যে ‘স্বাভাবিককরণ’ চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন এবং ইরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তি প্রত্যাহার করেছিলেন, যার বিরোধিতা ইসরায়েলও করেছিল।

২০২০ সালে ট্রাম্প একটি শান্তি পরিকল্পনা পেশ করেছিলেন যাতে পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনের রাজধানী সহ একটি দ্বি-রাষ্ট্র ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরায়েলের পশ্চিম তীরের কিছু অংশ সংযুক্ত করার ঘোষণা দেওয়ার জন্য মুহূর্তটি ব্যবহার করার পর পরিকল্পনাটি শেষ পর্যন্ত ভেঙ্গে যায়। ট্রাম্প পরে মার্কিন প্রকাশনা অ্যাক্সিওসকে বলেন, ‹সেটি বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে গেছিল, আমি প্রচন্ড রাগান্বিত ছিলাম।’

ট্রাম্প সম্প্রতি এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, ‹লেবাননে আপনাদের বন্ধুবান্ধব এবং পরিবাররের তাদের প্রতিবেশীদের সাথে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং সম্প্রীতির সাথে বসবাস করা প্রাপ্য এবং এটি কেবল মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার মাধ্যমেই ঘটতে পারে।›

এদিকে, কথার ফুলঝুরি সত্ত্বেও কমলা হ্যারিস অবিলম্বে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধ করার কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি। মার্কিন আরব এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেই বলছেন, তিনি তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য স্পষ্ট পদক্ষেপ নেননি, যেমন, ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা কমানো।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: পরাক্রমশালী রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কিয়েভের আরও বেশি সামরিক তহবিল প্রয়োজন। তবে, কিছু বিশ্লেষক বলছেন, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়া ইউক্রেনের জন্য বিপর্যয়কর হবে। প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্প রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন, এমনকি মাঝে মাঝে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে প্রকাশ্যে প্রশংসা করেছিলেন।

কিছু পর্যবেক্ষকের মদে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান আইন প্রণেতা ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সহায়তা প্রদানের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে, এমনকি বাইডেন সরকারকে এমন একটি যুদ্ধে অর্থায়নের জন্য দোষারোপ করেছেন, যা তারা যুক্তি দিয়েছের যে মার্কিন স্বার্থের উপকার হয়নি।

যদিও হ্যারিস অবিলম্বে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তির পরিকল্পনা করেননি, তবে তিনি কিয়েভের পক্ষে জোরালো সমর্থন জানিয়েছেন এবং পশ্চিমা দেশগুলিকে ইউক্রেনের জন্য সামরিক সমর্থন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

সুদান যুদ্ধ: ২০২৩ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতি সঙ্কট সুদান গৃহযুদ্ধে এপর্যন্ত ১কোটি ৪০লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ট্রাম্প পুনর্নির্বাচিত হলে সুদানকে অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখতে বা অবিলম্বে যুদ্ধ শেষ করার উপায় খুঁজে বের করার জন্য চাপ দিতে আগ্রহী দেখছেন না বিশ্লেষকরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হ্যারিসের ক্ষেত্রেও সুদানে যুদ্ধ শেষ করার জন্য তেমন আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়নি।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT