সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মর্গে ঘুরে ঘুরে ছেলের লাশ খুঁজছেন বাবা

প্রকাশিত : ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ণ, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার ৩৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ভগ্ন হৃদয় ও অসহায় চোখে তাকিয়ে আছেন দক্ষিণ গাজার বাসিন্দা আবু মুহাম্মদ গাইথ। একরাশ নীরবতা ঘিরে ধরেছে তাকে। কাঁপা কাঁপা হাতে খুলে দেখছেন প্রতিটি কাফন। দিন-রাত ঘুরছেন হাসপাতালের মর্গে। মাঝে মাঝে দেখছেন অজ্ঞাত মৃতদেহের খণ্ডিত অংশ। কিন্তু কোথাও নিজের হারিয়ে যাওয়া ছেলের সন্ধান পাচ্ছেন না গাইথ।

বিষাদ, ক্লান্তি এবং হতাশায় লুটিয়ে পড়ছেন অবরুদ্ধ অঞ্চলটির মাটিতে। যুদ্ধবিরতির পর এমন গল্প গাজার অসংখ্য পরিবারের। ইসরাইলের নৃশংস হামলায় নিহত হওয়া প্রিয়জনকে হারিয়ে অনেকের মনে শুধুই হাহাকার। বেঁচে থাকার ‘জীবন প্রদীপ’টিই যেন নিভে গেছে তাদের। আল-জাজিরা।

নিজের ১৭ বছর বয়সি ছেলেকে হারিয়েছেন গাইথ। পাগলপ্রায় বাবা সন্তানের খোঁজে সবধরনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। নিখোঁজের দিন তার ছেলে একটি কমলা সোয়েটার, একটি কালো জ্যাকেট, ট্র্যাকস্যুট প্যান্ট পরা ছিল। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স উদ্ধার করা কয়েক ডজন লাশের মধ্যে সন্তানকে খুঁজতে মর্গে এসেছিলেন গাইথ।

অশ্রুশিক্ত নয়নে গাইথ বলেন, ‘আমি তাকে খুঁজে পাচ্ছি না। কেউ কি একটি হলুদ সোলের কোনো স্যান্ডেল দেখেছেন? যদি দেখে থাকেন দয়া করে আমাকে জানান’। শুধুমাত্র গাইথই নয় স্বজনহারাদের সন্ধানে এসেছিলেন এমন আরও অনেকে। এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও অধিকৃত পশ্চিম তীরে নিজেদের হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে ইসরাইলি সেনারা। মঙ্গলবারের জেনিন শহরে চালানো অভিযানে নিহত হন অন্তত ১০ জন।

এদিকে, রাফার ধ্বংসস্তূপের মাঝে মৃতদের দেহাবশেষ খুঁজে বেড়াচ্ছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা। একজন বলেন, ‘গত কয়েকদিনে ১২০টি গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছি আমরা। কঙ্কাল ছাড়া আর কোনো কিছুই অবশিষ্ট নেই।’

টানা ১৫ মাস ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় ধ্বংসের নগরীতে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, গাজায় ঘরবাড়ি পুনর্গঠনেই ২০৪০ সাল বা এখন থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। আর এই মুহূর্তে ১৮ লাখ মানুষের জরুরি আশ্রয় প্রয়োজন।

এদিকে যুদ্ধবিরতির পর পদত্যাগ করেছেন ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রধান বা চিফ অব দ্য জেনারেল স্টাফ হারজি হালেভি। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় বাহিনীর ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে সোমবার পদত্যাগ করেন তিনি।

বুধবার ইসরাইলি সামরিক বাহিনী প্রকাশিত এক চিঠির বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, হারজি হালেভি তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী ৬ মার্চ থেকে তা কার্যকর হবে।

হালেভি বলেছেন, যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জিত হয়নি।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT