সোমবার ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভিসা কার্যক্রম নিয়ে নতুন তথ্য জানাল ভারত

প্রকাশিত : ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ শুক্রবার ২২ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ভারত সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশে নিজেদের ভিসা কার্যক্রম সীমিত করে দেয়। যদিও তা এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে আসার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জসওয়াল বাংলাদেশে ভিসা কার্যক্রমের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, ভিসা কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালু রয়েছে। মেডিকেল ও জরুরি বিষয়ের ভিসা হাইকমিশন থেকে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এবং আমাদের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করার মতো পরিস্থিতি যদি তৈরি হয়, তাহলে আমরা তখন তাই করব।

এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতের ভিসা পাওয়া নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর থেকে ভিসা পেতে বিলম্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন সেবা প্রত্যাশীরা। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারত।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আপদকালীন এবং চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া বাংলাদেশিদের আপাতত ভিসা দেওয়া হচ্ছে না।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, আপাতত বাংলাদেশিদের চিকিৎসার এবং জরুরি প্রয়োজনে ভিসা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হবে, তখন পূর্ণমাত্রায় কাজ শুরু হবে এবং ভিসা প্রদানও স্বাভাবিক হবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দেশটিতে ভিসা পরিষেবা বন্ধ ছিল। বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতিতে ভারতীয় দূতাবাসের বহু কর্মীকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রগুলোতে পুনরায় কাজ শুরু হলে সেখানেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অনেকে। এর জেরে ফের ব্যাহত হয় কাজ। বাধ্য হয়ে ভারতীয় দূতাবাস এবং ভিসা কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা মোতায়েন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলোতেসেপ্টেম্বর থেকে আবার জরুরি ভিত্তিতে পরিষেবা দেওয়া শুরু হয়েছে।

ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং খুলনায় ভিসা সেন্টার চালু হয়েছে। তবে এখনই সকলে ভিসা পাবেন না। কেবলমাত্র যারা চিকিৎসার জন্য আসবেন, তাদেরই জরুরি ভিত্তিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

এর আগে সাম্প্রতিক এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারত জানায়, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক নয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার ভিসা প্রদানের বিষয়টিও আগের মতো হয়ে যাবে। তবে আপাতত শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান করা হবে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT