বুধবার ১৮ জুন ২০২৫, ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাম ‘করাচি’, তাই ভেঙে দেওয়া হলো দোকান

প্রকাশিত : ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ, ১৩ মে ২০২৫ মঙ্গলবার ৩৩ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

শুধু করাচি নাম হওয়ায় ভাঙা হলো বেকারি। ভারত ও পাকিস্তানের উত্তেজনার মধ্যে তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদে ভাঙচুর চালিয়েছেন ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কর্মীরা। শনিবার দুই দেশ যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে এ ঘটনা ঘটে। আরজিআই বিমানবন্দর থানা এলাকার শামশাবাদ শাখায় বিকাল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে ভাঙচুরকারীরা পাকিস্তানি পতাকা পদদলিত করে এবং দেশটির বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। সোমবার ডনের প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, তারা লাঠি দিয়ে সাইনবোর্ডে আঘাত করছে, বিশেষ করে ‘করাচি’ শব্দটি লক্ষ্য করে। আরজিআই বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক কে. বালারাজু বলেন, বিকাল ৩টার দিকে আরজিআই বিমানবন্দর থানা এলাকার শামশাবাদ করাচি বেকারির বাইরে কয়েকজন বিজেপি কর্মী হাজির হন। তারা স্লোগান তোলেন এবং বেকারির নাম নিয়ে আপত্তি জানান। তারা সাইনবোর্ডটি ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করেন। ব্যাপক ক্ষতি করার আগেই আমরা তাদের আটক করি। তবে পরবর্তী সময়ে পুলিশ আটক ভাঙচুরকারীদের ছেড়ে দেয়। পরিদর্শক বালারাজু বলেন, করাচি বেকারি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে চায়নি।

উল্লেখ্য, ১৯৫৩ সাল থেকে হায়দরাবাদের একটি সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান এই বেকারি। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় প্রায়ই আক্রমণের শিকার হয় এই প্রতিষ্ঠান। নামটি ভারতের স্বাধীনতার আগে প্রতিষ্ঠাতার নিজ শহরকে নির্দেশ করে। বছরের পর বছর ধরে বারবার আক্রান্ত হওয়ার পরও বেকারিটি তার প্রতিষ্ঠাতার শিকড়ের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নাম পরিবর্তন করেনি। এ ঘটনায় বিজেপির তেলেঙ্গানা মুখপাত্র নাচারাজু ভেঙ্কটা সুভাষ নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি না কোনো বিজেপি কর্মী এই ধরনের ভাঙচুরে অংশ নিয়েছের কি না।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না, এটি করা সঠিক কাজ ছিল। শুধু এর নামে করাচি আছে মানে এই নয় যে, এটি করাচির। বেকারির অনেক আউটলেট দোকানের সামনে গর্বের সঙ্গে ভারতীয় পতাকা প্রদর্শন করে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT