সোমবার ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দখলদার ইসরায়েলের সেই পুরোনো খায়েশ পুনর্ব্যক্ত করলেন মন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৭:০৯ পূর্বাহ্ণ, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ রবিবার ২৩ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের সীমানাবৃদ্ধির রূপরেখা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী মন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ভবিষ্যতে জর্ডান নদীর ওপারের ভূমি ইসরায়েল দখল করে নেবে। সাম্প্রতিক একটি ডকুমেন্টারিতে তিনি ওই মন্তব্য করেন। যদিও এই প্রত্যাশা ইহুদি জনগণের বেশ পুরোনো।

টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা ‘গ্রেটার ইসরায়েলের’ স্বপ্ন দেখেন। সে ভবিষ্যত রাষ্ট্রের সীমানা হবে জর্ডান নদীর ওপার পর্যন্ত প্রসারিত। অল্প অল্প করে তা দখল করে ইসরায়েল এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে।

অতি-ডানপন্থী এ মন্ত্রী আরও দাবি করেন, জেরুজালেম শেষ পর্যন্ত সিরিয়ার দামেস্ক পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। এর ব্যাখ্যায় তিনি ধর্মের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। যেখানে বৃহত্তর ইসরায়েল আদর্শের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ‘প্রতিশ্রুত ভূমির’ কথা বলা হয়েছে। সেই ভূমিতে একটি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে।

স্মোট্রিচের মন্তব্যটি তার আগের মনোভাবই প্রকাশ করে। এর আগেও তিনি বিভিন্ন সময় ফিলিস্তিনি জনগণের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছিলেন এবং বলেছিলেন, ফিলিস্তিন শহরকে পৃথিবী থেকে মুছে ফেলা উচিত।

বৃহত্তর ইসরায়েল ধারণাটি ইহুদিদের ধর্মীয় গ্রন্থে উল্লেখ আছে। সেই ধারণা মতে উগ্র ডানপন্থি ইসরায়েলি নেতারা ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও জর্ডানের কিছু অংশ দখলের চেষ্টারত। যদিও ধর্মে ইহুদি রাষ্ট্রটির সঠিক সীমানা অনির্ধারিত; তবুও ইসরায়েলিরা ধারণাটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগোচ্ছেন। মন্ত্রীর ওই মন্তব্য তারই একটি সুচিন্তিত চিত্রায়ন।

জর্দান নদী মধ্যপ্রাচ্যে শরিয়ত নদী নামেও পরিচিত। মধ্যপ্রাচ্যের ২৫১-কিলোমিটার দীর্ঘ (১৫৬ মা) নদীটি গালীল সাগরের উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে বয়ে চলে মৃত সাগরে গিয়ে পতিত হয়। নদীটির পূর্ব সীমান্তে রয়েছে জর্ডান ও গোলান মালভূমি এবং পশ্চিম সীমান্তে রয়েছে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও ইসরায়েল। জর্ডান ও পশ্চিম তীর উভয়ই নদীটির কাছ থেকে তাদের নাম গ্রহণ করে।

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ নদীটি ইহুদিধর্ম ও খ্রিস্টধর্মে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এ নদী ঘিরেই ইহুদিদের ‘প্রতিশ্রুত ভূমির’ কাহিনি প্রাচীনকাল থেকে আবর্তিত। ইহুদি ছাড়াও অনেক ধর্মের মানুষ বিশ্বাস করেন ইহুদিরা একদিন তাদের প্রতিশ্রুত ভূমির দখল নেবে। যদি তাই হয় তবে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক স্বাধীন দেশের বিলুপ্তি ঘটবে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT