শনিবার ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাইওয়ানে বর্ষবরণে কান্নার উৎসব

প্রকাশিত : ০৬:০০ পূর্বাহ্ণ, ১ জানুয়ারি ২০২৫ বুধবার ১১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

পুরাতনকে ভুলে নতুন বছর যেন নতুন আশার সঞ্চার। সবমিলিয়ে যেন ভালো যায় এই যেন সবার কাম্য। সারাবিশ্বে চলে নানা আয়োজন। রঙিন ও বর্ণাঢ্য সাজে মেতে উঠে অধিকাংশ দেশের রাস্তা-ঘাট। কিন্তু বৈচিত্র্যময় বিশ্বে এই উৎসব পালনে দেখা যায় ভিন্নতা। পূর্ব এশিয়ার দেশ তাইওয়ানে রীতিমতো কান্নার মাধ্যমে শুরু হয় বর্ষবরণ উৎসব। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।

তাইপেই শহরের দা’আন ফরেস্ট পার্কে এই কান্নার উৎসবের আয়োজন করেছিলেন ২২ বছর বয়সি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হ্যারি লি। ২০২৩ সালে মজার ছলে ফেসবুকে করা একটি পোস্ট থেকে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের সূচনা হয়। পোস্টে তিনি আহ্বান জানান মানুষকে পার্কে এসে ৩০ মিনিট ধরে কাঁদতে। বিষয়টি জনপ্রিয় তাইওয়ানিজ চলচ্চিত্র ‘ভিভ ল’আমোর’-এর একটি দৃশ্য থেকে অনুপ্রাণিত। ১৯৯৪ সালে ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত এই চলচ্চিত্রটি তাইপেই শহরের দ্রুত আধুনিকায়ন এবং নগরজীবনের একাকীত্ব ও অবসাদকে চিত্রিত করে। চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে নারী চরিত্রটি পার্কের বেঞ্চে বসে দীর্ঘক্ষণ কাঁদার পর সিগারেট জ্বালিয়ে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।

হ্যারি লি’র পোস্টটি মজার জন্য করা হলেও তা দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। ২০২৩ সালের নববর্ষের রাতে প্রায় ১৬ হাজার মানুষ এতে যোগদানের আগ্রহ দেখান। শত শত মানুষ পার্কে জড়ো হয়ে কাঁন্না, হাসি, গান গাওয়া, নাচ ও গল্প বলার মাধ্যমে উৎসব উদযাপন করেন। লি বলেন, আমি কখনও ভাবিনি মানুষ সত্যিই আসবে বা এটি এতটা জনপ্রিয় হবে।

২০২৪ সালের এই কান্নার উৎসবে ইতোমধ্যে ৩৩ হাজার মানুষ যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এবার তাইওয়ান ফিল্ম অ্যান্ড অডিওভিজ্যুয়াল ইনস্টিটিউট এই আয়োজনকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। তারা পার্কে ‘ভিভ ল’আমোর’ চলচ্চিত্রের মুক্তির ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে একটি আউটডোর প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। চলচ্চিত্রের মূল অভিনয়শিল্পীরা এতে অংশ নেবেন। ২০২৩ সালে অংশগ্রহণকারীরা এই আয়োজনকে সংবেদনশীল ও আবেগঘন বলে বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ সেখানে নিজের কষ্টের কথা ভাগাভাগি করে কেঁদেছেন, আবার অনেকে নিজেদের আবেগমুক্ত করেছেন। অ্যাস্টার চ্যাং বলেন, ‘আমি সত্যিই কেঁদেছি! একটি পুরো টিস্যু প্যাকেট শেষ হয়ে গিয়েছিল’। আরেক অংশগ্রহণকারী চেন চু-ইয়ুয়ান বলেন, ‘যখন আপনি এখানে কাঁদবেন, তখন মানুষ আপনাকে সান্ত্বনা দেবে, আঙুল তুলে দেখাবে না।’

এই কান্নার উৎসবটি দেখিয়েছে যে, সবাই একইভাবে আনন্দ উদযাপন করে না। যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যদের জীবন দেখে ঈর্ষান্বিত বা একাকী বোধ করেন, তাদের জন্য এটি ছিল এক বিরল ও মুক্তির মতো অভিজ্ঞতা। উল্লেখ্য, তাইওয়ানে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ৩০ থেকে ৪৫ বছর বয়সিদের প্রতি চারজনের একজনের মধ্যে বিষণ্নতা বা উদ্বেগের লক্ষণ দেখা গেছে। এই সমস্যার সমাধানে সরকার বিনামূল্যে কাউন্সেলিং প্রোগ্রাম চালু করেছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT