সোমবার ২৩ জুন ২০২৫, ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিম-মুরগির দাম বাড়িয়ে ২৮০ কোটি টাকা লোপাট

প্রকাশিত : ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ, ৬ অক্টোবর ২০২৪ রবিবার ৫৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ডিমের বাজারে এক ধরনের অস্থিরতা চলছে। সপ্তাহের ব্যবধানে একটি ডিমের দাম পৌঁছেছে ১৫ টাকায়। এমন অস্থিরতার নেপথ্যে বহুজাতিক কোম্পানি এবং রাজধানীর তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতিকে দায়ী করেছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

একইসঙ্গে ২০ দিনে অযৌক্তিকভাবে ডিম ও মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে অসাধু চক্র ২৮০ কোটি টাকা লুটপাট করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। শনিবার সংগঠনটির সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এসব অভিযোগ করেছেন।

তিনি বলেন, সারা দেশে ডিমের বাজারে অস্থিরতা চলছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ডিম-মুরগির দামও নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কোনো প্রান্তিক খামারিকে ডিম-মুরগির দাম নির্ধারণের ওয়ার্কিং গ্রুপ কমিটিতে রাখেনি। তারা শুধু করপোরেট গ্রুপদের পরামর্শে দাম নির্ধারণ করেছে। যার ফলে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আবার এর জন্য ফিড ও মুরগির বাচ্চার উৎপাদনকারী কোম্পানি, তাদের অ্যাসোসিয়েশন এবং তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতিসহ অনেক শক্তিশালী সিন্ডিকেটের হাত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে একটি ডিমের উৎপাদন খরচ ১০ টাকা ২৯ পয়সা। সে অনুযায়ী ১২ থেকে সাড়ে ১২ টাকা যদি ভোক্তা পর্যায়ের দাম থাকে তবে সেটি যৌক্তিক। কিন্তু সেই ডিমের দাম পৌঁছেছে ১৫ টাকায়। এমন অবস্থায় ডিম আর মুরগির বাজারে স্বস্তি রাখতে পোলট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চার সিন্ডিকেট ভেঙে ডিম-মুরগির উৎপাদন খরচ কমাতে পারলে শিগগিরই বাজার সহনীয় পর্যায়ে আসবে।

বিবৃতিতে ডিমের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের ভূমিকার ব্যাপারে বলা হয়, তারা প্রথমে খামার থেকে ডিম সংগ্রহ করেন। পরে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় রাতে ডিম পাঠানো হয়। এরপর সকালে তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি ফজরের নামাজের পর দাম নির্ধারণ করে সব জায়গায় মোবাইল এসএমএস ও ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এরপর সারা দেশেই এই দাম বাস্তবায়ন করা হয়।

এখানে প্রতিদিন ১০০ ডিমে ১০-২০ টাকা কমিয়ে ৭ টাকা প্রতি পিসে দাম নামিয়ে আনা হয়। আবার একই নিয়মে ডিমের দাম বাড়িয়ে ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে এই সিন্ডিকেট দাম কমিয়ে ডিম কিনে ৫ থেকে ৭ দিন সংরক্ষণ করে রাখে। এরপর হঠাৎ দাম বাড়িয়ে নিজেরা কম দামে কেনা ডিম বেশি দামে বিক্রি করে দ্বিগুণ-তিনগুণ লাভ করে। এতে করে সারা দেশের ডিম ব্যবসায়ীরা লাভবান হয়। আর উৎপাদক ও ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সুমন হাওলাদার আরও অভিযোগ করে বলেন, ফিড ও মুরগির বাচ্চার বাজার নিয়ন্ত্রণ করে করপোরেট কোম্পানি। তারা এতই শক্তিশালী যে, সরকার ফিড ও মুরগির বাচ্চার দাম নির্ধারণ না করে উল্টো উৎপাদকের ওপর দাম চাপিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে করপোরেট গ্র“পদের সিন্ডিকেট করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর ডিম-মুরগির দাম নির্ধারণ করা হয়। সেখানে বলা হয়, উৎপাদক পর্যায়ে প্রতিটি ডিম ১০ দশমিক ৫৮ টাকার বেশি বিক্রি করতে পারবে। যা ভোক্তা পর্যায়ে ১২ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু যাদের সঙ্গে নিয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, তারা কেউ সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি করেননি।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT