সোমবার ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রুডোর পদত্যাগে কানাডাকে ফের ৫১তম রাজ্য বানানোর প্রস্তাব ট্রাম্পের

প্রকাশিত : ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ণ, ৭ জানুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার ১৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতে নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফ্লোরিডায় দেখে করেছিলেন কানাডার পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ওই বৈঠকে কানাডা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প। বিষয়টি হাস্যরসের হলেও, মূলত বাণিজ্য ও অভিবাসন সমস্যা নিয়ে ট্রুডোর প্রশাসনের ওপর নাখোশ ছিলেন ট্রাম্প।

এবার হোয়াইট হাউজে আগামী ২০ জানুয়ারি আসীন হওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী পদ ছেড়েছেন ট্রুডো। ঠিক এ সময়ও রসিকতা করতে ছাড়েননি ট্রাম্প। আবারও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য করা প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

টানা ৯ বছর ধরে একটানা ক্ষমতায় থাকা ট্রুডোকে নিয়ে নিজের দলের ভিতরেই তার পদত্যাগের জন্য ক্রমে চাপ বাড়ছিল। এই অবস্থা সোমবার কানাডার ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির নেতার পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।

এমন আবহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প আবারও ট্রুডো ও কানাডাকে ট্রল করার সুযোগ নিয়েছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেন, ‘কানাডার অনেক মানুষ ৫১ তম রাজ্য হতে ভালোবাসে। কানাডার এতো পরিমাণ বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি এবং ভর্তুকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর সহ্য করতে পারে না। জাস্টিন ট্রুডো এটি জেনে পদত্যাগ করেছেন। কানাডা যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একীভূত হয়, তাহলে সেখানে কোন কিছু থাকবে না। শুল্ক, ট্যাক্স অনেক কমে যাবে, এবং তারা ক্রমাগত ঘিরে থাকা রাশিয়ান এবং চীনা জাহাজের হুমকি থেকে সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত থাকবে। সবাই মিলে এটি এক মহান জাতি হবে’!

কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সমস্যার সমাধান নিয়ে আগে থেকে বিতর্ক ছিল। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার আগে ট্রুডোর কাছে বার্তা পরিষ্কার করে দেন ট্রাম্প। অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ নিয়ে ট্রাম্পের নীতি কট্টর। এছাড়া কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি তো আছেই।

ট্রুডো ২০১৫ সালে লিবারেল পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে প্রথমবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। সর্বশেষ ২০২১ সালে ট্রুডোর নেতৃত্বে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে লিবারেল পার্টি। আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে কানাডায় নতুন নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে চাপের মুখে দলীয় নেতৃত্ব ও প্রধানমন্ত্রিত্ব দুটোই ছাড়তে বাধ্য হলেন ট্রুডো।

গদত্যাগের ঘোষণায় ট্রুডো বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে দেশের মানুষের সেরা বিকল্পকে বাছাই করার সুযোগ পাওয়া উচিত। যদি আমায় দলের ভিতরেই লড়াই করতে হয়, স্পষ্টতই, আমি সেরা বিকল্প নই।’

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT