রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫, ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের কাছে ‘দেশ বিক্রি’ করতে রাজি জেলেনস্কি

প্রকাশিত : ০৭:৫০ পূর্বাহ্ণ, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার ১৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ক্ষমতার আসার আগেই ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ফলে অনেকটা বেকাদায় পড়েছে কিয়েভ। বেশকিছুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া আর্থিক সহায়তার বিনিময়ে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের ওপর অধিকার দিতে চাপ দিয়ে আসছিলেন ট্রাম্প।

জবাবে জেলেনস্কি বলেছিলেন, ‘আমি আমার দেশ বিক্রি করতে পারি না’। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে নিজের এই মন্তব্য থেকে সরে আসলেন জেলেনস্কি। বুধবার দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।

মঙ্গলবার এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। তিনি বলেছেন ‘আমরা সেই অর্থ ফেরত চাই। আমরা বড় সমস্যায় থাকা দেশকে সাহায্য করেছি… কিন্তু আমেরিকার করদাতারা এখন তাদের অর্থ ফেরত পেতে চায়।’

এরপরেই খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বড় ধরনের চুক্তির শর্তাবলীর বিষয়ে রাজি হয়েছে ইউক্রেন। কিয়েভে একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বিবিসিকে এটি জানিয়েছেন। ‘বেশ কিছু ভালো সংশোধনী নিয়ে আমরা একমত হয়েছি এবং এটিকে একটি ইতিবাচক ফল হিসেবেই দেখছি,’ বলছিলেন ওই কর্মকর্তা। তবে এর বিস্তারিত কিছু তিনি জানাননি।

তবে শুক্রবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প- জেলেনস্কি। কিন্তু এমন চুক্তিকে ‘প্রতারণা’ বলছেন রাশিয়া।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, শুরুতে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে ৫০ হাজার কোটি ডলারের মালিকানা দাবি করেছিল, তা থেকে তারা সরে এসেছে। তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে নিরাপত্তাজনিত নিশ্চয়তা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো আশ্বাস দেওয়া হয়নি, অথচ এটি ইউক্রেনের মূল দাবির একটি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে আশা করছেন তিনি। দুই নেতা একে অপরকে নিয়ে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেওয়ার পর মঙ্গলবার ট্রাম্প এ কথা বলেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, চুক্তির বিনিময়ে ইউক্রেন লড়াইয়ের অধিকার পাবে। তবে চুক্তির বিষয়ে কোনো সমঝোতা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করেননি তিনি। সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, তারা (ইউক্রেন) খুবই সাহসী। তবে যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে না পেলে, অর্থসহায়তা না পেলে ও সামরিক সরঞ্জাম না থাকলে, এ যুদ্ধ খুব অল্প সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যেত।

ইউক্রেনে মার্কিন সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ সরবরাহ অব্যাহত থাকবে কি না, তা ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। জবাবে তিনি বলেন, ‘হয়তো রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত চলবে…আমাদের একটি চুক্তি করতে হবে। না হয় এটা চলতে থাকবে।’

ট্রাম্প মনে করেন, শান্তি চুক্তি হওয়ার পর ইউক্রেনে ‘শান্তিরক্ষা’ বিষয়ক কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে তা এমনভাবে করতে হবে, তা যেন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। গত সপ্তাহেও ট্রাম্প ও জেলেনস্কিকে একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিতে দেখা গেছে।

ট্রাম্প জেলেনস্কিকে একজন ‘স্বৈরশাসক’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর জন্য রাশিয়াকে দায়ী না করে উলটো কিয়েভের প্রতি দোষারোপ করেছেন তিনি। এদিকে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের ওপর ট্রাম্প তার দেশের ৫০ হাজার কোটি ডলারের যে মালিকানা দাবি করেছিলেন, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন জেলেনস্কি।

তিনি বলেছেন, রাশিয়ার তৈরি করা ‘অপতথ্যের জগতে’ বাস করছেন ট্রাম্প। তিন বছর আগে ইউক্রেনে পুরোদমে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে ইউক্রেনকে সামরিক ও অন্যান্য সহায়তা দিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেসব সহায়তার বিনিময়ে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের ওপর অধিকার দাবি করেছেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা দিয়েছে উল্লেখ করেছেন। খনিজ চুক্তির বিষয়ে প্রথম সংবাদ প্রকাশ করেছে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। সংবাদমাধ্যমটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ওলহা স্টেফানিশিনা বলেছেন, চুক্তিটি বড় কোনো আকাক্সক্ষার একটি অংশমাত্র।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT