শনিবার ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কানাডায় বাবা-মা নিয়ে স্থায়ী হওয়ার সুবিধা বন্ধ, বিপাকে বাংলাদেশিরা

প্রকাশিত : ০৭:২০ পূর্বাহ্ণ, ৫ জানুয়ারি ২০২৫ রবিবার ১৭ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

কানাডায় স্থায়ী বাসিন্দারা তাদের বাবা-মা ও দাদা-দাদিকে স্পন্সরের মাধ্যমে স্থায়ী করার যে সুযোগ পেতেন, তা বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। চলতি বছর থেকে এ ধরনের কোনো আবেদন নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন, উদ্বাস্তু ও নাগরিকত্ববিষয়ক বিভাগ (আইআরসিসি)। এটি পেরেন্টস অ্যান্ড গ্র্যান্ড পেরেন্টস (পিজিপি) প্রোগ্রাম হিসেবে পরিচিত ছিল। খবর ইকোনমিক টাইমসের।

যেসব স্থায়ী বাসিন্দা ২০২৪ সাল পর্যন্ত তাদের বাবা-মা অথবা দাদা-দাদির জন্য স্থায়ী কার্ডের আবেদন করেছিলেন, আপাতত সেগুলোই যাচাই-বাছাই করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে কানাডার যেসব নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দা চান তাদের মা-বাবা বা স্বজন দীর্ঘদিন তাদের সঙ্গে এসে থাকুক, তারা চাইলে সুপার ভিসার আবেদন করতে পারবেন। সেটির মেয়াদ পাঁচ বছর।

অভিবাসনে কড়াকড়ি
আগে কানাডা অভিবাসন নীতিতে উদার থাকলেও, সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিবাসীর সংখ্যা কমানোর কথা বলেছেন। অভিবাসনে কঠোর নীতির ফলে ২০২৫ সালে কানাডায় বসবাসকারী অস্থায়ী ১২ লাখ বিদেশি দেশত্যাগে বাধ্য হতে পারেন– এমন তথ্য উঠে এসেছে টরন্টোভিত্তিক বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।

এখন থেকে প্রতিবছর স্থায়ী বাসিন্দা সুবিধা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা। এ বছর মাত্র ৩ লাখ ৯৫ হাজার অভিবাসীকে স্থায়ী বাসিন্দার কার্ড দেওয়া হবে। ২০২৬ সালে এটি ৩ লাখ ৮০ হাজার এবং ২০২৭ সালে ৩ লাখ ৬৫ হাজারে নামিয়ে আনা হবে।

বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, স্থায়ী বাসিন্দা কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ায় অনেক বাংলাদেশি বিপাকে পড়বেন। পাঁচ বছর ধরে কানাডায় বসবাসরত ঢাকার কেরানীগঞ্জের প্রসেনজিত দাশ জয় (৩৫) বলেন, বর্তমানে কানাডায় স্থায়ী বাসিন্দার কার্ড পাওয়া রীতিমতো দুরূহ হয়ে উঠেছে। এটি পেতে সরকার নির্ধারিত নির্দিষ্ট পয়েন্ট অর্জন করতে হয়, যার মান বাড়ানো হয়েছে সম্প্রতি। এতে যেসব বাংলাদেশি অস্থায়ীভাবে কানাডায় বাস করছেন, তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে, বাবা-মা ও দাদা-দাদিকে না নেওয়ার বিষয়টি আগে থেকে কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন বাচ্চু নামে অপর এক প্রবাসী। তিনি বলেন, আমি যখন এসেছিলাম, তখন নিজ খরচে স্ত্রী-সন্তান ও বাবা-মাকে নিয়ে আসা যেত। দিন দিন এই অবস্থা কঠিন হয়েছে। প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ পিজিপির আবেদন করছেন। তবে সুযোগ পাচ্ছেন লটারিতে নাম ওঠা হাতেগোনা কয়েকজন।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT