ইরানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনার বিষয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, যে কোনো ব্যক্তি বা দেশ ইরান থেকে তেল বা পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কিনলে তাদের ওপর সঙ্গে সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেকেন্ডারি স্যাংশন’ (পরোক্ষ নিষেধাজ্ঞা) আরোপ করা হবে।’
২ মে (শুক্রবার) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া এক বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনোভাবেই ব্যবসা করতে পারবে না—না কোনোভাবে, না কোনো রূপে।
ট্রাম্পের এ মন্তব্য এমন সময় এলো যখন ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে রোমে অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাষ্ট্র-ইরান বৈঠক স্থগিত হয়েছে।
এক জ্যেষ্ঠ ইরানি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আচরণের ওপর নির্ভর করে বৈঠকের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন চীনভিত্তিক একটি কাঁচা তেল সংরক্ষণ কেন্দ্র ও একটি স্বাধীন রিফাইনারিসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যাদের অবৈধভাবে ইরানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প আবারও সর্বোচ্চ নীতি ফিরিয়ে আনেন, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যে নামিয়ে আনা এবং দেশটিকে পরমাণু অস্ত্র অর্জনে বাধা দেওয়া।
‘সেকেন্ডারি স্যাংশন’ হলো এমন এক ধরণের নিষেধাজ্ঞা, যেখানে একটি দেশ তৃতীয় আরেকটি দেশের সঙ্গে ব্যবসার কারণে দ্বিতীয় কোনো দেশকে শাস্তি দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের মতো বৃহৎ অর্থনীতির ক্ষেত্রে এটি একটি অত্যন্ত কার্যকর হাতিয়ার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের তেল রপ্তানিকে বাস্তবিকভাবে দমন করতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে এমনকি চীনা ব্যাংকের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে, যারা ইরানি তেল কেনায় সহায়তা করে। বর্তমানে চীনই ইরানি কাঁচা তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা।
প্রকাশক মোঃ সোহেল রানা ও সম্পাদক: মোঃ মোজাম্মেল হক। ২৭, কমরেড রওসন আলী রোড, বজলুর মোড়, কুষ্টিয়া-৭০০০।
© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | Design and Developed by- DONET IT