বুধবার ১৮ জুন ২০২৫, ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের তেল কিনলেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা: ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত : ০৯:০৩ পূর্বাহ্ণ, ২ মে ২০২৫ শুক্রবার ৫৮ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইরানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনার বিষয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, যে কোনো ব্যক্তি বা দেশ ইরান থেকে তেল বা পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কিনলে তাদের ওপর সঙ্গে সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেকেন্ডারি স্যাংশন’ (পরোক্ষ নিষেধাজ্ঞা) আরোপ করা হবে।’

২ মে (শুক্রবার) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

বৃহস্পতিবার ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া এক বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনোভাবেই ব্যবসা করতে পারবে না—না কোনোভাবে, না কোনো রূপে।

ট্রাম্পের এ মন্তব্য এমন সময় এলো যখন ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে রোমে অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাষ্ট্র-ইরান বৈঠক স্থগিত হয়েছে।

এক জ্যেষ্ঠ ইরানি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আচরণের ওপর নির্ভর করে বৈঠকের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন চীনভিত্তিক একটি কাঁচা তেল সংরক্ষণ কেন্দ্র ও একটি স্বাধীন রিফাইনারিসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যাদের অবৈধভাবে ইরানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প আবারও সর্বোচ্চ নীতি ফিরিয়ে আনেন, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যে নামিয়ে আনা এবং দেশটিকে পরমাণু অস্ত্র অর্জনে বাধা দেওয়া।

‘সেকেন্ডারি স্যাংশন’ হলো এমন এক ধরণের নিষেধাজ্ঞা, যেখানে একটি দেশ তৃতীয় আরেকটি দেশের সঙ্গে ব্যবসার কারণে দ্বিতীয় কোনো দেশকে শাস্তি দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের মতো বৃহৎ অর্থনীতির ক্ষেত্রে এটি একটি অত্যন্ত কার্যকর হাতিয়ার।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের তেল রপ্তানিকে বাস্তবিকভাবে দমন করতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে এমনকি চীনা ব্যাংকের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে, যারা ইরানি তেল কেনায় সহায়তা করে। বর্তমানে চীনই ইরানি কাঁচা তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT