মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইয়েমেনে প্রায় ৫ লাখ মাইন ও বিস্ফোরক অপসারণ করেছে সৌদি আরব

প্রকাশিত : ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ, ১৭ মার্চ ২০২৫ সোমবার ১১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

মাসাম প্রজেক্টের মাধ্যমে ২০১৮ সালে শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইয়েমেন থেকে ৪.৮৪ লাখের বেশি মাইন ও বিস্ফোরক অপসারণ করেছে সৌদি আরব।

রোববার (১৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আরব নিউজ।

প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওসামা আল-গোসাইবি জানান, অপসারিত বিস্ফোরকের মধ্যে রয়েছে—

– ৩,২৩,৭৯৩টি অবিস্ফোরিত গোলা,

– ১,৪৬,২০৭টি ট্যাংক বিধ্বংসী মাইন,

– ৮,২০০টি ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি), এবং

– ৬,৭৪৯টি অ্যান্টি-পারসোনেল মাইন।

হুথিদের পাতা বিস্ফোরকের ঝুঁকি

সৌদি সহায়তা সংস্থা কেএসরিলিফ পরিচালিত এই প্রকল্প ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে হুথি বিদ্রোহীদের পেতে রাখা মারাত্মক বিস্ফোরক অপসারণে কাজ করছে।

গত সপ্তাহে বিশেষ অভিযানে ৫১৫টি অবিস্ফোরিত গোলা, ২৫টি ট্যাংক বিধ্বংসী মাইন, ৫টি অ্যান্টি-পারসোনেল মাইন ও ৩টি আইইডি ধ্বংস করা হয়েছে।

ইয়েমেনের বিভিন্ন এলাকায় হুথিদের পেতে রাখা বিস্ফোরক শিশু, নারী ও বৃদ্ধসহ সাধারণ নাগরিকদের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে।

মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে সহায়তা

প্রজেক্ট মাসাম সৌদি বাদশাহ সালমানের নির্দেশে পরিচালিত বিভিন্ন উদ্যোগের একটি, যার লক্ষ্য ইয়েমেনের ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের সহায়তা ও মানবিক সহায়তার রুট পরিষ্কার করা।

যেখানে অপসারণ অভিযান চালানো হয়েছে:

এই প্রকল্পের মাইন অপসারণ অভিযান ইয়েমেনের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিচালিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে—

– মারিব, আদেন, জউফ, শাবওয়া, তাইজ, হোদেইদা, লাহিজ, সানা, আল-বায়দা, আল-ধালেহ ও সাদা।

স্থানীয়দের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা

প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় মাইন অপসারণ প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণ ও আধুনিক যন্ত্রপাতির সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি, বিস্ফোরণে আহত ইয়েমেনিদের পুনর্বাসন ও সহায়তা প্রদান করা হয়।

বাস্তুচ্যুত ৫০ লাখের বেশি মানুষ

ইয়েমেনে সংঘাত শুরুর পর থেকে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে, যাদের অনেকেই ভূমি মাইন ও বিস্ফোরকের কারণে এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।

মাসাম প্রকল্পের দল গ্রাম, সড়ক ও স্কুল পরিষ্কার করার কাজ করছে, যাতে সাধারণ মানুষ নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছানো সহজ হয়।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT