সোমবার ২৩ জুন ২০২৫, ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইয়েমেনে পালটা হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল

প্রকাশিত : ০৯:১০ পূর্বাহ্ণ, ৬ মে ২০২৫ মঙ্গলবার ৩০ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে মিসাইল হামলার জেরে এবার ২০টি যুদ্ধবিমান দিয়ে ইয়েমেনে হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। দেশটির হুথি নিয়ন্ত্রিত হোদেইদা বন্দরে কয়েক দফায় চালানো হয় এই হামলা।

সোমবার (৫ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে এ হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরাইল সেনাবাহিনী। এতে বলা হয়েছে, ইসরাইলে হামলা চালানোর পালটা পদক্ষেপ হিসেবে হুথি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে হামলা চালানো হয়েছে। খবর জেরুজালেম পোস্টের।

এ সময় ফেলা হয় অর্ধশতাধিক বোমা। মুহুর্তেই ধ্বংস হয়ে যায় বেশ কয়েকটি স্থাপনা। বিস্ফোরণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় একটি সিমেন্ট তৈরির কারখানা। এসব হামলায় কমপক্ষে ২১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে প্রাণহানির কোনো তথ্য মেলেনি।

ধারণা করা হচ্ছে, হামলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হোদেইদা বন্দর। অভিযোগ রয়েছে বন্দরটি ব্যবহার করে ইরান থেকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ হয় হুথি বিদ্রোহীদের কাছে।

এর আগে রোববার ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথির ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সীমানায় আঘাত হানে। যার ফলে একটি রাস্তা ও যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আটজন আহতও হয়েছেন বলে জানিয়েছে প্যারামেডিকেরা।

ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত উন্নত থাড সিস্টেম ও তেল আবিবের দূরপাল্লার অ্যারো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপাতিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।

হুথির সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি টেলিগ্রামে পোস্ট করেছেন, গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান সম্প্রসারণের প্রতিক্রিয়ায় এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।

সারি আরও বলেছেন, ইয়েমেন-ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠনটি ইসরাইলি বিমানবন্দরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার তাদের পরিকল্পনাকে ‘বিবেচনা করার জন্য সমস্ত আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলিকে আহ্বান জানিয়েছে এবং বিমান সংস্থাগুলোকে ‘তাদের বিমান এবং তাদের এজেন্টদের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য ‘শত্রু বিমানবন্দরগুলিতে সমস্ত সময়সূচি ফ্লাইট বাতিলের সুপারিশ করেছে।’

এদিকে এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু লেখেন, হুথিদের আক্রমণ শেষ পর্যন্ত ‘ইরান থেকে এসেছে’।

তিনি লেখেন, ‘ইরানি ‘টেরর মাস্টারদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দরে হুথি হামলার জবাব নির্দিষ্ট সময়ে ও স্থানে দেবে ইসরাইল।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT