সোমবার ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইতালীয় সাংবাদিককে মুক্তি দিয়েও সমালোচিত ইরান

প্রকাশিত : ০৭:৩১ পূর্বাহ্ণ, ৯ জানুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার ৭ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

তিন সপ্তাহ কারাভোগের পর ইতালীয় সাংবাদিক সিসিলিয়া সালাকে মুক্তি দিয়েছে ইরান। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির কার্যালয় বুধবার এ খবর নিশ্চিত করেছে।

ইতালীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, গত ১৯ ডিসেম্বর তেহরানে গ্রেফতার হওয়ার পর সালাকে জেল থেকে মুক্ত করাতে সফল হয়েছে ইতালি। ইরান অবশ্য এই গ্রেফতারের পেছনে রোমে আটক ইরানি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবেদিনির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

এদিকে সাংবাদিক সিসিলিয়া সালার মুক্তির খবরটি ইতালিতে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করা হয়।

এ নিয়ে এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মেলোনি লেখেন, ‘সিসিলিয়ার ফিরে আসা সম্ভব করতে যারা কাজ করেছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি এখন তার পরিবার ও সহকর্মীদের সঙ্গে মিলিত হতে পারবেন’।

সেই সঙ্গে তিনি এও উল্লেখ করেছেন, সিসিলিয়ার মুক্তির খবরটি ইতোমধ্যেই তার মা-বাবাকে জানানো হয়েছে।

২৯ বছর বয়সি সিসিলিয়া সালা ইতালির ‘ইল ফোগ্লিও’ সংবাদপত্রে কর্মরত একজন সাংবাদিক। তিনি তেহরানের খ্যাতনামা ইভিন কারাগারে আটক ছিলেন। নিয়মিত সাংবাদিক ভিসায় ইরানে কাজ করছিলেন তিনি।

গত ১৬ ডিসেম্বর ইরানি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবেদিনিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে মিলানের মালপেনসা বিমানবন্দরে আটক করা। এর তিন দিন পরেই তেহরানে গ্রেফতার হন ইতালীয় সাংবাদিক সিসিলিয়া।

তবে উভয়ের গ্রেফতারের মধ্যে কোনো যোগসূত্র নেই বলেই দাবি করেছে তেহরান।

ইরানি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ড্রোন প্রযুক্তি সরবরাহ করেছিলেন। যা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জর্ডানে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে আক্রমণে ব্যবহৃত হয়।

কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ও গুজব

মেলোনির কার্যালয় জানিয়েছে, ইতালির কূটনৈতিক ও গোয়েন্দা চ্যানেলের মাধ্যমে সাংবাদিক সিসিলিয়া সালার মুক্তি সম্ভব হয়েছে।

তবে ইতালির কিছু সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মেলোনির মধ্যে আলোচনাতেই সিসিলিয়া সালার মুক্তির ইঙ্গিত ছিল। যদিও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

এদিকে সাংবাদিক সিসিলিয়া সালার মুক্তি ইরানের পশ্চিমা বন্দিদের ব্যবহার করে বন্দি বিনিময় নিয়ে আগের অভিযোগগুলোকে আবারও সামনে এনেছে।

অতীতে ইরান এমন বন্দি বিনিময়ের জন্য অভিযুক্ত হয়েছে। ২০২৩ সালে পাঁচ আমেরিকান নাগরিকের বিনিময়ে ইরান কয়েকজন ইরানি বন্দিকে মুক্ত করে। একই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার হাতে জমে থাকা ৬ বিলিয়ন ডলার অর্থ ফেরত আনতে সক্ষম হয়।

তবে সিসিলিয়া সালার মুক্তি কূটনৈতিক চাপ ও আলোচনার মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন বলে মনে করছে ইতালি। সূত্র: আল-জাজিরা

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT