বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
◈ ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি ◈ একুশেই মিলবে স্টার্টআপ ঋণ, সুদ হার মাত্র ৪ শতাংশ ◈ আলিম ও কারিগরি এইচএসসির সারাদেশের পরীক্ষা স্থগিত ◈ কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের কালকের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত ◈ গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্তকারীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র ◈ ট্রাম্পের সমালোচনার পর ইউক্রেনে রাশিয়ার রেকর্ড সংখ্যক ড্রোন হামলা ◈ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ◈ নিহতের ফোনের ভিডিওতে মিলল ৫ আগষ্ট হত্যাকাণ্ডের চিত্র ◈ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে দুর্ঘটনায় চীনা প্রকৌশলী নিহত ◈ ফেনীতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত, নেই বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক

আ.লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যায় ৭ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত : ০৫:২১ অপরাহ্ণ, ১৬ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার ৩২১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্যাহকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় ৭ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডে আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতে আসামিরা দোষী প্রমাণিত হয়েছে। রায়ের সময় আসামি মো. সুমন উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামিরা জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা অন্যরা হলেন- মো. মুরাদ, জাকির হোসেন, মো. কামাল, আলমগীর হোসেন, মো. রিপন ও মো. নিশান। তারা সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর ও নন্দীগ্রামের বাসিন্দা। দণ্ডপ্রাপ্তরা স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

পরিবার ও এজাহার সূত্র জানায়, আহসান উল্যা সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার হাবুল্লার ফলের দোকানে কাজ করতেন। ২০১৪ সালের ২৫ জুলাই দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দোকান থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় দণ্ডপ্রাপ্তর আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথা ও পিঠে আঘাত করে। এ সময় বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করলে তার পেট ও পিঠে গুলি করে তারা। পরে আহসান উল্যার ছেলে ও স্ত্রীসহ স্বজনরা ঘটনাস্থল গেলে আসামিরা পালিয়ে যায়। কিন্তু কাউকেই তারা চিনতে পারেননি। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা আহসান উল্যার পাশ আসামিদের একটি মোবাইলফোন পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক আহসান উল্যাকে উদ্ধার করে পোদ্দারবাজার জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় পরদিন ২৬ জুলাই তার ছেলে মো. আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৫ সালের ২৬ জুন ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতের প্রতিবেদন দাখিল করেন। তখন মো. কামাল ও আলমগীর হোসেন নামে দুজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। অন্য আসামিরা পলাতক ছিলেন। পরে জামিন নিয়ে আসামিরা পালিয়ে যায়।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT