শনিবার ২৪ মে ২০২৫, ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
◈ হঠাৎ বিকল মেঘনা ট্রেনের ইঞ্জিন, আটকা শত শত যাত্রী ◈ আমার বাসস্থানে এসে শপথ পড়ানোর প্রস্তাব দিলেও লাভ নাই: ইশরাক ◈ পদ্মায় রেলসহ ২৫৮ প্রকল্প সমাপ্তির লক্ষ্য নির্ধারণ ◈ ইশরাক ইস্যুতে বিক্ষোভ যৌক্তিক ও সঙ্গত মনে করে বিএনপি ◈ সুনামগঞ্জে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য গ্রেফতার ◈ বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান বিচারপতির মতবিনিময় সভা ◈ তিস্তার পানিতে ভেসে গেছে কৃষকের স্বপ্ন, বন্যার শঙ্কা ◈ ধানমন্ডির ঘটনায় হান্নান মাসউদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে ইসির সামনে এনসিপির বিক্ষোভ আজ ◈ যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষাখাতে সাইবার হামলা, ৬ কোটি শিক্ষার্থীর তথ্য চুরি

আফগানিস্তানে পরিত্যক্ত মার্কিন অস্ত্র এখন জঙ্গিদের হাতে

প্রকাশিত : ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ শনিবার ২১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার সময় তালেবানরা যে মার্কিনিদের বিশাল অস্ত্রাগার দখল করেছিল, সেই অস্ত্রের কোনো হদিস নেই। এই অস্ত্রগুলো হারিয়ে, বিক্রি হয়ে বা চোরাচালানের মাধ্যমে জঙ্গিদের কাছে পৌঁছেছে বলে বিবিসি সূত্র জানিয়েছে। জাতিসংঘের ধারণা, এর মধ্যে কিছু অস্ত্র আল-কায়েদার সহযোগী গোষ্ঠীর হাতেও চলে গেছে।

২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার সময় তালেবান প্রায় দশ লাখ অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম নিজেদের কবজায় নেয়।

এগুলোর বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে কেনা হয়েছিল বলে এক সাবেক আফগান কর্মকর্তা নাম গোপন রেখে বিবিসিকে জানিয়েছেন।

২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রাক্কালে অনেক আফগান সেনা আত্মসমর্পণ করেন বা পালিয়ে যান। এ সময় অনেকেই তাদের অস্ত্র ও যানবাহন ফেলে গিয়েছিলেন। মার্কিন সেনারাও কিছু রণ সরঞ্জাম রেখে চলে যান।

এই অস্ত্র ভাণ্ডারে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম৪ ও এম১৬ রাইফেলের মতো আগ্নেয়াস্ত্র। এ ছাড়া আফগানিস্তানে কয়েক দশকের সংঘাতের পর পড়ে থাকা পুরনো অস্ত্রও ছিল।

সংশ্নিষ্ট সূত্রগুলো বিবিসিকে জানিয়েছে, গত বছরের শেষ দিকে কাতারের দোহায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক কমিটির এক গোপন বৈঠকে তালেবান স্বীকার করেছে, তাদের হাতে থাকা সামরিক সরঞ্জামের কমপক্ষে অর্ধেকের কোনো হিসাব নেই। কমিটির এক সদস্য জানান, তারা অন্যান্য সূত্রের সঙ্গে যাচাই করে নিশ্চিত হয়েছেন, প্রায় পাঁচ লাখ সামরিক সরঞ্জামের কোনো হদিসই নেই।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান, ইসলামী আন্দোলন উজবেকিস্তান, পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামী আন্দোলন এবং ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলনসহ আল-কায়েদার সহযোগী বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠন তালেবানের দখলে থাকা অস্ত্র ব্যবহার করছে বা কালোবাজার থেকে কিনছে।

বিবিসি এ বিষয়ে জানতে চাইলে তালেবান সরকারের উপমুখপাত্র হামদুল্লাহ ফিতরাতের বলেন, তালেবান অস্ত্রের সুরক্ষা ও সংরক্ষণকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে। তিনি দাবি করেন, ‘সব ধরনের হালকা ও ভারি অস্ত্র নিরাপদে সংরক্ষিত রয়েছে।’ চোরাচালান বা অস্ত্র হারানোর অভিযোগ উড়িয়ে দেন তিনি।

২০২৩ সালে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবান তাদের স্থানীয় কমান্ডারদের দখলে নেওয়া মার্কিন অস্ত্রের ২০ শতাংশ নিজের কাছে রাখার অনুমতি দিয়েছে। এর ফলে কালোবাজারে অস্ত্র ব্যবসা আরো সক্রিয় হয়েছে।

সূত্র : বিবিসি

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT