শনিবার ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবৈধ অস্ত্র জমা দিলেই মিলবে টাকা

প্রকাশিত : ০৭:১৫ পূর্বাহ্ণ, ৯ জানুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার ৬ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

মেক্সিকোয় সহিংস অপরাধ কমাতে সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারে নতুন পরিকল্পনা করেছে দেশটির সরকার। অবৈধ অস্ত্র জমা দিলেই পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হবে টাকা।

এমন পরিকল্পনা কার্যকরের চিন্তাভাবনাই চলছে দেশটিতে। বুধবার এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেশিনগান ও অ্যাসল্ট রাইফেলসহ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে সরকার।

সোমবার প্রকাশিত মেক্সিকোর সরকারি গেজেটে আর্থিক প্রণোদনার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন গির্জায় সরকারি কর্মকর্তারা আগ্রহী ব্যক্তিদের কাছ থেকে এই অস্ত্র সংগ্রহ করবেন।

আরও উল্লেখ করা হয়েছে, রিভলভার জমা দিলে ৮ হাজার ৭০০ পেসো (৪৩০ ডলার), একে-৪৭ রাইফেল জমা দিলে ২৫ হাজার পেসো (১ হাজার ২০০ ডলার) এবং মেশিনগান জমা দিলে ২৬ হাজার ৪৫০ পেসো (১ হাজার ৩০০ ডলার) দেওয়া হবে। গত মাসে এক বক্তব্যে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেনবাউম দেশের নাগরিকদের ‘নিরস্ত্রের প্রতি এবং শান্তির প্রতি হ্যাঁ’ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।

কেউ অস্ত্র ত্যাগ করলে তাদের বিচার করা হবে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। ক্লদিয়া আরও বলেছেন, মানুষকে স্বেচ্ছায় অস্ত্র সমর্পণের সুযোগ করে দিতে সরকার দেশের বিভিন্ন গির্জায় কেন্দ্র বানাচ্ছে। সেখানে গিয়ে মানুষ আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিতে পারবে। এ জন্য তাদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হবে।

এক সময় ৯০ লাখ মানুষের নগর মেক্সিকো সিটির মেয়র ছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া।

তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা মেক্সিকো সিটিতে এই কর্মসূচি চালু করেছিলাম এবং এতে ভালো ফল পাওয়া গেছে।’ শত শত কোটি ডলারের অবৈধ মাদক বাণিজ্য ঘিরে মেক্সিকো সহিংস অপরাধে নিমজ্জিত হয়ে আছে।

মেক্সিকোর জাতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটের প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালে দেশটিতে ৩১ হাজার ৬২ মানুষ খুন হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষ খুন হয়েছেন আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে। মেক্সিকোতে অস্ত্র কেনাবেচা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ফলে সে দেশে বাস্তবিক অর্থে বৈধভাবে অস্ত্র সংগ্রহ করা প্রায় অসম্ভব একটা কাজ।

দেশটির সরকার যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে সীমান্তে অস্ত্র পাচার মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ নিতে বারবার ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT